রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার একই পরিবারের দুই শিশুর। শুক্রবার তালতলাপাড়া এলাকায় বন্ধ গাড়ির ভিতরে দম আটকে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ ও ছয় বছর বয়সী দুই শিশুর, দাবি এলাকাবাসীর।


প্রতিদিনের মতোই চারচাকা গাড়ির সামনে খেলছিল তিন শিশু। কিন্তু শিশুমন কি আর বুঝতে পেরেছিল যে খেলার পরিণাম কী সাংঘাতিক হতে পারে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, খেলার সময়েই গাড়ির গেট কোনওভাবে লক হয়ে যায়। বের হতে না পেরে গাড়ির ভিতরেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাদের। এরপর হাজার ছটফট করেও লাভ হয়নি। খানিক পরেই স্তব্ধ হয়ে যায় ছোট্ট দুটি হৃদপিণ্ড। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তৃতীয় শিশুটিকে। তাকে বহরমপুরের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় স্বভাবতই এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।


দিন দুই আগে, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে নিউ কামাখ্যাগামী ক‍্যাপিটাল স্পেশাল আপ ট্রেনে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, চলন্ত ট্রেনের এমারজেন্সি জানলা থেকে পড়ে গুরুতর জখম হয় এক শিশু।  যা নিয়ে স্টেশন চত্বরেও ছড়িয়েছে উত্তেজনা। 


বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে নিউ কামাখ্যাগামী ক‍্যাপিটাল স্পেশাল আপ  খড়িবাড়ির অধিকারী স্টেশন থেকে এনজিপির উদ্দেশে যাওয়ার সময় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যায় এক শিশু, এমনটাই জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। জানা যায়, শিশুটির বাড়ি গোরুবাথান এলাকায়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে খড়িবাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর শিশুটি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। 


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই ছিল শিশুটি। জানলার ধারে বসে সে খেলছিল। তবে, সেটি ছিল এমার্জেন্সি জানলা। দুর্ঘটনা বা অন্য কোনও বিপদের সময় দ্রুত ট্রেন থেকে বের হওয়ার জন্য এই জানলা ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু আচমকাই গ্রিল খুলে পড়ে যায় শিশুটি। 


ঘটনা ঘিরে স্টেশন চত্বরে উত্তেজনা দেখা যায়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেনটি। ট্রেনটি  দার্জিলিং জেলার খড়িবাড়ির অধিকারী স্টেশনে ছিল। চলন্ত ট্রেন থেকেই প্ল্যাটফর্মে পড়ে যায় শিশুটি। পরিবারের সদস্য ও সহযাত্রীরা মিলে ছুটে গিয়ে উদ্ধার করে শিশুটিকে। কোনও ক্রমে প্রাণে বাঁচে শিশুটি। পরে পরিস্থিতি ঠিক হলে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। 


আরও পড়ুন: Kolkata: তিলজলায় পণের দাবিতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে