সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: তৃণমূলে (TMC) ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন নদিয়ার (Nadia) বীরনগর পুরসভার দুই জয়ী নির্দল প্রার্থী। এ বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সাফাই স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি (BJP)।
পুরভোটে (Municipal Election) নির্দল ইস্যুতে কড়া বার্তা দিয়ে রেখেছেন তৃণমূলনেত্রী। এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন নদিয়ার (Nadia) বীরনগর পুরসভার (Municipal Election 2022) দুই জয়ী নির্দল প্রার্থী। এর মধ্যে শরদিন্দু দেবনাথ ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন। আর বাপি দাস জয়ী হয়েছেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডে।
পুরভোটে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। দলের নির্দেশ অমান্য করে লড়াইয়ে অনড় থাকায়, শাসকদল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁদের। ১৪ ওয়ার্ডের বীরনগর পুরসভায় তৃণমূল এবার একাই জিতেছে ১১টি আসন। দুটি আসনে জয়ী হয়েছে নির্দল, একটি আসনে জিতেছে বিজেপি।
ফল প্রকাশের ১০ দিনের মাথায় তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন দুই জয়ী নির্দল প্রার্থী। বীরনগর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী নির্দল প্রার্থী শরদিন্দু দেবনাথের কথায়, তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই করতাম। এই দল করে মানুষের কাজ করা যায়। তাই যদি সুযোগ থাকে দল আমাদেরকে পুনরায় ফিরিয়ে নেয়, আমরা আবার দলে ফিরে যেতে রাজি আছি। জয়ী নির্দলদের দলে ফেরানোর বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার।
অন্যদিকে আলিপুরদুয়ার ও তমলুক পুরসভা ঝুলিতে এলেও, চেয়ারম্যান কে হবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। একটি পদের একাধিক দাবিদার। যদিও চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে থাকার কথা স্বীকার করছেন না কেউই। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: AAP in Bengal: আপের সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু বাংলায়, কটাক্ষ তৃণমূল-বিজেপির
পাশাপাশি বাঁকুড়া পুরসভার ৩টি ওয়ার্ডে হারের কারণ খুঁজতে তৎপর তৃণমূল। ওই ৩টি ওয়ার্ড থেকে জমা পড়ল রিপোর্ট। দলেরই একাংশ নির্দলদের সমর্থন করেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ। এদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি তৃণমূলের। গোটাটাই নাটক, পাল্টা খোঁচা বিজেপির।