কলকাতা: কলকাতায় ফের আগুন। উল্টোডাঙায় রেল লাইনের পাশে ঝুপড়িতে আগুন। ঘটনাস্থলে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। বেশ কয়েকটি ঘর ইতিমধ্যেই পুড়ে ছাই। ঘিঞ্জি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের জেরে আতঙ্ক। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ উল্টোডাঙায় রেল লাইনের পাশে ঝুপড়িতে আগুন লাগে। দ্রুততার সঙ্গে একের পর এক ঝুপড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকল আসার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও দমকল কর্মীদের সঙ্গে হাত লাগিয়েছেন। কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এলাকায় যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও কলকাতা পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু। 
দমকলের ৬টি ইঞ্জিন প্রায় একঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। 


মাঝে ব্যবধান এক মাসেরও থেকে কিছুটা বেশি। তার মধ্যে শহরে একের পর এক অগ্নিকাণ্ড। গত সপ্তাহে নিউটাউনে ভস্মীভূত হয়ে যায় ফুটপাতের ৫টি দোকান। গতকাল রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রথমে একটি খাবার দোকানে আগুন লাগে। সেখান থেকে আরও চারটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিটি দোকানেই গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। প্রায় ৬-৭টি সিলিন্ডার ফেটে যাওয়ায় আগুনের তীব্রতা বাড়ে। দমকলের দুটি ইঞ্জিনের একঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ৫টি খাবারের দোকানই পুড়ে যায়। বন্ধ দোকানে কীভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। 


তার পরের দিনই অর্থাৎ ১৮ নভেম্বর কসবার অ্যাক্রোপলিস মলে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ মলের চারতলায় ফুড কোর্টের একটি কাউন্টার থেকে আগুন ছড়ায়। আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি করে বেরোনোর চেষ্টা করেন ফুড কোর্টের কর্মীরা। মল কর্তৃপক্ষ জানায়, মোমো-র কাউন্টার থেকে আগুন ছড়ায়। মলের কর্মীরাই নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর আগে ১৪ জুন, অ্যাক্রোপলিস মলে আগুন লাগে। সেবারও ফুড কোর্ট থেকেই আগুন লাগে বলে জানা যায়। হাইড্রলিক ল্যাডার এনে কাচ ভেঙে আগুন নেভাতে হয় দমকল কর্মীদের। বারবার আগুন লাগায় মলের অগ্নি-সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Tathagata Roy: 'রাজ্য নেতৃত্বের থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গলদ বেশি' বিজেপির ভরাডুবিতে নিশানা তথাগতর