নয়াদিল্লি: রক্তাক্ত প্যারিস। প্রশাসন জানিয়েছে, শনিবার, ফ্রান্সের রাজধানী শহরের 'গাঁ দ্য লিয়ঁ' নামে একটি ব্যস্ত রেলস্টেশনে (Paris Knife Attack) ছুরি নিয়ে হামলা চালায় আততায়ী। বেশ কয়েকজন জখমও হন। তবে শেষমেশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও কিছু জানানো হয়নি।

বিশদ...
শনিবার, স্থানীয় সময়, সকাল ৮টা নাগাদ হামলার ঘটনাটি ঘটে। জখমের সংখ্যা ৩। তাঁদের মধ্যে এক জনের আঘাত গুরুতর, দু'জনের তেমন কিছু হয়নি। কিন্তু কেন এমন হামলা চলল? কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। 'গাঁ দ্য লিয়ঁ' রেলস্টেশন অত্য়ন্ত ব্যস্ত একটি জায়গা। ঘরোয়া রেল-যোগাযোগের নিরিখে তো বটেই, সুইৎজারল্যান্ড এবং ইতালিগামী একাধিক ট্রেনও এই স্টেশন হয়ে যায়। সে দিক থেকে ফ্রান্সের আন্তর্জাতিক রেল যোগাযোগেরও অন্যতম কেন্দ্র এটি। সেই রেল স্টেশনে, হঠাৎ করে এমন ছুরি নিয়ে হামলায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কের চোরাস্রোত তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, অভিযুক্তের কাছ থেকে ইতালির ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার হয়েছে। হামলার সময়ে তার মুখে কোনও রকম স্লোগানও শোনা যায়নি বলে দাবি পুলিশ প্রশাসনের। আপাতত রেল স্টেশনের কিছু অংশ ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে জানান স্টেশন কর্তৃপক্ষ। এর আগে, একাধিক বার, নানা ধরনের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে ফ্রান্সের রাজধানী শহর। 


২০১৬ সালের জুন মাসে যেমন, প্যারিসের শহরতলিতে এক পুলিশ অফিসারকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। পণবন্দি করে রাখা হয় পুলিশ অফিসারের স্ত্রী ও তিনবছরের শিশুকে। পুলিশের সঙ্গে মধ্যস্থতা চলাকালীন অফিসারের স্ত্রীকেও কুপিয়ে খুন করে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী। পরে পুলিশের গুলিতে আততায়ীর মৃত্যু হয়। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, মধ্যস্থতা চলাকালীন হামলাকারী নিজেকে আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত বলে পুলিশের কাছে দাবি করে। আইএস-মদতপুষ্ট এক সংবাদ সংস্থাও হামলাকারীকে শাখা সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করে। প্যারিসের শহরতলি ম্যাগনাভিলে বাড়ির সামনেই ওই পুলিশ অফিসারকে কুপিয়ে খুন করে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী। পরে বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ওই অফিসারের স্ত্রীর দেহ। দম্পতির তিন বছরের শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। 
তবে প্যারিসে, ফরাসি পত্রিকা 'শার্লি এবদো'-র দফতরে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে যে হামলা চলেছিল, সেই স্মৃতি বোধহয় এখনও টাটকা বাসিন্দাদের মনে। ওই ঘটনায় বন্দুকধারীদের হামলায় ঘটনাস্থলে ১২ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ফ্রান্সের বিখ্যাত কার্টুনিস্টরা ছিলেন। হামলায় জড়িত অভিযোগে ১২ জন পুরুষ এবং একজন মহিলাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতরা সকলেই বন্দুকধারীদের সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। 


 


আরও পড়ুন:১০ বছরের জেল গতকাল, আজ ফের সস্ত্রীক ইমরানকে ১৪ বছরের সাজা শোনাল পাক আদালত