কলকাতা: কবে মিলবে চাকরি? এবারও পুজোয় পথেই থাকতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের? ধর্মতলায় এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের ৫৬৩ দিন। ‘নিয়োগপত্র না পেলে, আন্দোলন প্রত্যাহার নয়’, বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা। মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির নীচে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ৫৬৩ দিনে পড়ল। নিয়োগ-জট কাটাতে শিক্ষামন্ত্রীর উদ্যোগে খুশি হলেও, আশ্বাসে বিশ্বাস নেই চাকরিপ্রার্থীদের। হাতে নিয়োগপত্র না পেলে, আন্দোলন প্রত্যাহার নয়, সাফ জানিয়েছেন SSC ও SLST চাকরিপ্রার্থীরা। পরিবারের সঙ্গে পুজো কাটাতে না পারার আক্ষেপ থাকলেও, বঞ্চনার প্রতিকার না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অনড় আন্দোলনকারীরা। 


গতকাল সকালেই চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'তৃণমূল সরকার চাকরি দেবে না, দিলে আদালত দেবে। চাকরিপ্রার্থীদের লড়াইকে সম্মান জানালেও, অনুরোধ পুজোয় পরিবারকে সময় দিন।' আর এবার সাংবাদিক সম্মেলন করে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ ব্রাত্য বসুর।


এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, 'আদালতের নির্দেশে, এসএসসি ইস্যুতে নিয়মের ব্যতিক্রম আছে কিনা, এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মহামান্য আদলতের নির্দেশে এই ধরণের সমস্ত ব্যতিক্রমী নিয়োগ বাতিল করে, তার ফলে যে শূন্য পদ সৃষ্টি হবে, ওয়েটিং প্যানেলের অর্থাৎ অপেক্ষমান মেধা তালিকার ক্রমানুসারে নিয়োগ করার জন্য কমিশন প্রস্তুত আছে।আমাদের সরকার মহামান্য আদালতের মতোই চাইছেন, সমস্ত জটিলতা অত্যন্ত দ্রুত কাটিয়ে, দ্রুত এবং সদর্থক নিষ্পত্তি তাড়াতাড়ি হোক।আন্দোলন চাকরি প্রার্থীদের কাছে অনুরোধ রাখছি, আপনারা দেখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই পদ সৃষ্টি করতে চেয়েছেন। এবং সেই পদ অনুযায়ী আদালতে তথ্য জানাচ্ছে এসএসসি। তাহলে সেই সদিচ্ছার উপর ভরসা রেখে আপনারা , আপনাদের আন্দোলন প্রত্য়াহার করে নিন। বাড়িতে তাঁদের আত্মীয় স্বজনের কাছে ফিরে যান, আসন্ন দুর্গা পুজোয় , পরিবার এবং আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটান।'


আগেও আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিলেন, নিয়োগপত্র পেলে তবেই উঠবে আন্দোলন। এসএসসি (SSC) আন্দোলনকারীদের সমস্যা মেটাতে সম্প্রতি বৈঠক করেছে সরকার। গত সোমবারই বিকাশ ভবনে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী। আন্দোলনকারীদের তরফে ৮ জন প্রতিনিধি ওই বৈঠকে আসেন। বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক চলে। তারপরে সেখান থেকে বেরিয়েই আশার কথা শুনিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।


মিলেছে আশ্বাস:
আন্দোলনকারীদের তরফে শহীদুল্লাহ বলেন, বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) আশ্বাস দিয়েছেন যে সবার চাকরি হবে। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, মেধাতালিকায় থাকা সকলের চাকরি হতে হবে। সেইভাবেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। শহীদুল্লাহ বলেন, 'মেধাতালিকায় নাম থাকা একজনও যেন বঞ্চিত না হয়, আলোচনা সদর্থক হয়েছে। ৬০০০-এর মধ্যে ২১৫৯টি সিট তৈরি করা আছে'।


আন্দোলন উঠবে? 
তাহলে কি গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চলা আন্দোলন উঠে যাবে? সেই প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীদের তরফে শহীদুল্লাহ বলেন, 'শান্তিপূর্ণ ধর্না-অবস্থান চলবে। সকলের নিয়োগপত্র পেলেই আন্দোলন বন্ধ হবে।' আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, প্যানেলে অসঙ্গতি আছে, সবাই নিয়োগের যোগ্য। আরও একটু ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে। তাঁদের আশা সবারই চাকরি হবে।