দেবাশিস সরকার, কলকাতা: বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের (Kolkata Airport) জেরে কলকাতা থেকে উড়ল না ৮টি বিমান (Flight Did Not Land)। ৩ বিমান নামলেও, যাত্রীদের বাইরে বের হতে দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, প্রথমে বিমানবন্দরের কর্মীরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে বিমানবন্দরের নিজস্ব দমকল-সহ ৮টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় ১ ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ, বি পোর্টাল থেকে ডোমেস্টিকের চেকিং ও বোর্ডিং শুরু হয়। কিন্তু কলকাতার মতো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কাজ করল না কেন? স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে এই প্রশ্ন।


কী জানা গেল?
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, যেখানে আগুন লেগেছে তার কাছেই কনভেয়ার বেল্ট রয়েছে। তাই সুরক্ষার কথা ভেবে নির্দিষ্ট ওই জায়গাটিতে স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। তবে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগেছিল বলে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক অনুমান।


কী ঘটেছিল?
গত কাল, রাত ৯টা ১২ মিনিটে, ডিপার্টচারের ডি পোর্টালের ১৬ নম্বর কাউন্টারের কাছে আগুন লাগে। ধোঁয়ায় ভরে যায় বিমানবন্দর। আতঙ্ক ছড়িয়ে প়ড়ে যাত্রীদের মধ্যে। পাশাপাশি অবস্থিত অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ডিপার্চার। নিয়মিত সিকিওরিটি চেক ইন হয় সেখানে। কলকাতা বিমানবন্দরের সেই সিকিওরিটি চেক ইনেই আগুন লাগল। বুধবার রাতে এই অগ্নিকাণ্ডকে ঘিরে হুলস্থুল বাধে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান। কিন্তু বিমানবন্দরের স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কেন কাজ করছিল না, কেন বিধ্বংসী আকার ধারণ করল আগুন উঠেছে প্রশ্ন। বিমানবন্দর সূত্রে জানা যাচ্ছে, যে পোর্টালের কাছে আগুন লাগে, সেখানে স্বয়ংক্রিয় অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ছিল না। কেন ছিল না, মেলেনি তার সদুত্তর। রাতের দিকে সাধারণত ভিড় ভালই থাকে বিমানবন্দরে। সিকিওরিটি চেক ইন কাউন্টারের সামনে তাই লম্বা লাইন চোখে পড়ে। ওই জায়গায় নিরাপত্তাও থাকে আটোসাঁটো। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে অনুমান করা হচ্ছে প্রাথমিক ভাবে। কিন্তু কেন তা গোড়াতেই চোখে পড়ল না, আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল কী করে, কেন বিমানবন্দরে থাকা স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কাজ করল না, উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রী এবং কর্মীদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয় হয় দমকলে।  এসে পৌঁছয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ জানা যায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু ৯টা বেজে ২০ মিনিটে যেখানে প্রথম ধোঁয়া চোখে পড়ে, আগুন ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে, সেই সময়ই কেন স্বয়ংক্রিয় নির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেল না, উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, যে জায়গায় আগুন লাগে, সেখানে যন্ত্র ছিল না।। 


আরও পড়ুন:ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিসের মধ্যে পার্থক্য কী ? প্রতিরোধের উপায় কী ?