কলকাতা: সন্ধে হতেই আলিপুর এবং দমদমে জোড়া কালবৈশাখীর তাণ্ডব হয়েছে গত মঙ্গলবার। সে দিন বিকেল ৫টায় দমদমে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৭২ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়েছিল। প্রায় একই সময়ে আলিপুরে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৭৮ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় হয়। প্রবল ঝড়ে রেড রোডে ভেঙে পড়ে গাছ, বিপর্যস্ত হয় ট্রেন চলাচল। সব মিলিয়ে তীব্র গরম থেকে স্বস্তি মিলেছিল অনেকটাই। কিন্তু এই শান্তির আমেজ কতক্ষণ স্থায়ী হবে? এর পর কেমন থাকবে মহানগরের (Kolkata Weather) হাওয়া বাতাস?
আজ কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (minimum temperature) ছিল ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা কিনা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। গত কাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (maximum temperature) ছিল ৩৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। আজ সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৬২ শতাংশ। আপাতত যা পূর্বাভাস, তাতে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকার কথা। আগামিকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে যেতে পারে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিকে তাপমাত্রার হেরফেরে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্সকরা। কাশি হলে কমতে সময় লেগে যাচ্ছে অনেক দিন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
ভৌগোলিক অবস্থান (Kolkata Geographical Situation): হুগলি নদীর পূর্ব তীর ও বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী। ভারতের বড় শহরের তালিকায় অন্যতম এই মহানগর। দেশের অন্যতম বড় বন্দরও বটে। গোটা পূর্বভারতের শহরকেন্দ্রিক কার্যকলাপের অন্যতম প্রধান জায়গা কলকাতা। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর সর্বোচ্চ উচ্চতা ৯ মিটার।
আরও পড়ুন:ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিসের মধ্যে পার্থক্য কী ? প্রতিরোধের উপায় কী ?