রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll 2023) আগে ফের একাধিক ইস্যুতে গর্জে উঠলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ফের দিলীপের নিশানায় 'পিসি ও ভাইপো।'


পঞ্চায়েত নিয়ে বিজেপি  আদালতের দ্বারস্থ হল কিন্তু সেই তো শূন্য হাতে ফিরতে হল? 


বুধবার দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, 'বিজেপির জন্যই তো সেন্ট্রাল ফোর্সের কথা উঠল। লাঠিধারী পুলিশ চলবে না বলেছে। এটা শুধু বিজেপির নয়। সব বিরোধীদলেরই দাবি। সরকারি কর্মচারীরা এখনও দাবিতে অনড় আছেন যে কেন্দ্রীয় বাহিনী না হলে তারা নির্বাচন করবেন না। তাদের প্রাণের ঝুঁকি আছে। সেই কথা নিয়েই বিজেপি আদালতে গেছে।'


রাজনীতি বড্ড বেশি আদালত নির্ভর হয়ে পড়ছে না?


 দিলীপ ঘোষ এনিয়ে বলেন, 'সরকার যখন সিদ্ধান্ত নেয় না, তখন মানুষ আদালতে যায়। সরকারের উপর মানুষের ভরসা চলে যায় তখন আদালতে যায়।' বাংলায় কথায় কথায় আদালত কেন ? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,' একটা জনসভা করতে গেলেও পুলিশ অনুমতি দেয় না। হাইকোর্টে যেতে হয়। কোন দেশে শুনেছেন এরকম। এই সরকারের সেই ইচ্ছাও নেই যোগ্যতাও নেই আর মানুষেরও সরকারের উপর বিশ্বাস নেই।শুধু বিজেপি নয় বিরোধীরা নয় তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরাও আদালতে যাচ্ছে ন্যায় পাওয়ার জন্য। সরকার কোন সিদ্ধান্ত নেয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথার ঠিক নেই। কখন কী বলেন। কখন কী করেন। এখন তো শুধু নেতাদের আর ভাইপোকে বাঁচাতেই তিনি ব্যস্ত। সরকার তো কিছুই করছে না। সরকারি কর্মচারীরা মাসের পর মাস ধর্না দেয়। পরীক্ষায় পাশ করার পরেও চাকরির দাবিতে ধরনা দিতে হয়। হাজারো লোক ধর্না দিচ্ছে। কোন রাজ্যে আছে? কোন সরকারে আছে? এটা শুধু পশ্চিমবঙ্গে।'


 গতবারের তুলনায় কী এবার বেশি মনোনয়ন করবে বিজেপি? 


দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এখনও পর্যন্ত বিজেপি এগিয়ে আছে। এবং সব জায়গায় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। প্রথম দুদিন তো প্রশাসন প্রস্তুতি ছিল না, মনোনয়ন নেওয়ার জন্য। সরকারি কোনো নোটিশ ছিল না। অভিজ্ঞতা নেই। ফর্ম দিতে পারছিল না। ডিসিআর কাটতে পারছিল না। এত স্লো কাজ করছেন সরকারি কর্মীরা, যে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। আমি কালকে সারাদিন মেদিনীপুর ঘুরেছি। ৪২ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা চলে গেছে, ভাবুন সেই অবস্থায় বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন লোকেরা। মনোনয়ন জমা দিতে। অফিসের মধ্যে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসতে হচ্ছে। কী অব্যবস্থা। কয়েকজন ভিডিও ভাল ব্যবস্থা করেছেন। কী সুন্দর ব্যবস্থা করেছেন যারা অভিজ্ঞ আর বেশিরভাগ যারা অনভিজ্ঞ এবং নতুন ভিডিও সেখানে দেরি হচ্ছে।'


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


দিলীপ আরও ঘোষ বলেন, ' হ্যাঁ আমাকেও দিয়েছে। কিন্তু নমিনেশন করতে পারছে না ওরা। হয়তো ওদের কাছে ক্যান্ডিডেট নেই। ওরা বলছে অন্য লোকের ক্যান্ডিডেট নেই। তৃণমূলেরই প্রার্থী আছে কিনা সন্দেহ হচ্ছে আমার। প্রার্থী ঘোষণা এজন্যই করছে না যে, ঘোষণা হলেই মারামারি শুরু হয়ে যাবে।'