সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: ফের পুলিশের জালে দুই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী।  গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।


রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা হল মহঃ রাশেদুল ইসলাম (২৮) এবং মহঃ রফিকুল মিঞা (৩৫)। রাশেদুলের বাড়ি বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর এলাকায়। রফিকুল বাংলাদেশের ঘাগরবাজার জেলার গাইবান্ধা এলাকার বাসিন্দা। এদের পরিকল্পনা ছিল হিলি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার। শনিবার রাতে রায়গঞ্জে সুভাষগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের পুলিশ গ্রেফতার করে। রবিবার তাদের রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পেশ করা হয়। তারা কাজের খোঁজে এদেশে এসেছিলেন বলে জানা যায়।


সম্প্রতি চার বাংলাদেশী-সহ একজন ভারতীয় দালালকে গ্রেফতার করেছিল নদিয়ার হাঁসখালি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকালে হাঁসখালি থানার পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, কয়েকমাস আগে এই বাংলাদেশি নাগরিকরা ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল। আজ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, এমনটাই ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে পুলিশ।


অবৈধভাবে দালালের মারফত তারা বাংলাদেশের ফেরত যেতে চেয়েছিল বলে জানা যায় এবং সে কথা স্বীকারও করেছেন ওই ভারতীয় দালাল। ধৃতদের পুলিশি হেফাজত চেয়ে রাণাঘাট মহকুমা আদালতে পেশ করে হাঁসখালি থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত চার বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের  নাম জসিম উদ্দিন, বাহারুল শেখ, কুদ্দুস সরদার ও অকলিমা সরদার। ধৃত ভারতীয় দালালের নাম রাজীব বিশ্বাস। বাড়ি হাঁসখালি থানার বগুলা এলাকায়। 


অনুপ্রবেশ নিয়ে সম্প্রতি বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'এখানে গুন্ডা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বর্ডার দিয়ে খুন করছে চলে যাচ্ছে এইরকম লোক পাঠানো হচ্ছে। এটা বিএসএফর অনেক ভিতরকার কাজ। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের একটা ব্লু প্রিন্ট আছে।'


আরও পড়ুন, আজ থেকে শুরু মাধ্যমিক, জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসার অপেক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীরা


তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'বাংলার পুলিশ যদি সহযোগিতা না করত, কোনও জঙ্গি ধরা পড়ত না। এই জঙ্গিদের ঢুকিয়েছিল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। বাংলাকে অশান্ত করার জন্য।' আর এবার অনুপ্রবেশের জন্য় কে দায়ী মোদি সরকার, না মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকার, তা নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের লড়াইয়ের মধ্য়েই নতুন তত্ত্ব শোনা গেল কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের গলায়।