সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: লাইসেন্সবিহীন চিকিৎসকদের হাতেই  প্রসূতি থেকে শিশুর রোগীদের চিকিৎসা ! পাশাপাশি একটি ডায়াগনস্টিক ল্যাব চালানোয়,  করণদিঘী ব্লকের একটি বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র সিল করে দিল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। এছাড়াও অভিযুক্ত চিকিৎসকের দুটি চেম্বার সহ মোট তিনটি দোকান সিল করে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এখনও কোনও আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।


লাইসেন্সবিহীন চিকিৎসকের হাতেই শিশুর চিকিৎসা 


করণদিঘী ব্লকের ভারপ্রাপ্ত সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চিকিৎসা কেন্দ্রটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তার কোনও বৈধ লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। লাইসেন্স বিহীন একজন ব্যক্তি নিজেকে একজন চিকিৎসক হিসেবে দাবি করে, প্রসূতি রোগী থেকে শিশুদের চিকিৎসা করানোর পাশাপাশি একটি ডায়াগনস্টিক ল্যাবও কি ভাবে চালাচ্ছিলেন  এনিয়েও প্রশ্ন উঠছে। জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাদের নির্দেশ মেনে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে  প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন করণদিঘী ব্লকের ভারপ্রাপ্ত বিডিও।


বিষয়টি নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে অভিযোগ আসে


করণদিঘী থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে গত কয়েক বছর ধরেই লাইসেন্সবিহীন এক ব্যক্তি নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে দাবি করে রোগীদের চিকিৎসা করছিলেন। এছাড়াও সেখান অবৈধভাবে ক্লিনিক সহ ওষুধের দোকান চালাচ্ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশে করণদিঘী ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আভাস রাজ , ইসলামপুর মহকুমার আধিকারিক সুনিতা সেনগুপ্ত, করণদিঘী ব্লকের ভারপ্রাপ্ত সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বাপ্পাদিত্য রায় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার ওই বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রটি পরিদর্শনে যান।


আরও পড়ুন, অভিষেকের বিরুদ্ধে 'ডায়মন্ডহারবার' কেন্দ্রে নৌশাদ ? কী বললেন TMC-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক


চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ধনঞ্জয় ঘোষের কাছে চিকিৎসকের বৈধ লাইসেন্স দেখতে চাইলে তিনি দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করিয়ে একটি ভুয়ো লাইসেন্স আধিকারিকদের কাছে পেশ করেন। চিকিৎসকের বৈধ লাইসেন্স না থাকার অভিযোগে চিকিৎসা কেন্দ্র এবং অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা নিরিক্ষা কেন্দ্র গুলি সিল করে দেন। লাইসেন্স বিহীন চিকিৎসক চিকিৎসা করার অভিযোগ উঠলেও অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এখনই কোনও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। করণদিঘী ব্লকের ভারপ্রাপ্ত সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বাপ্পাদিত্য রায় জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁদের যে ধরণের নির্দেশ দেওয়া হবে তারা তৎক্ষনাৎ সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। যদিও ধনঞ্জয় ঘোষ এবিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি।