পার্থপ্রতিম ঘোষ, শুভেন্দু ভট্টাচার্য, সোমনাথ মিত্র ও সত্যজিৎ বৈদ্য, উত্তরকাশী, তুফানগঞ্জ ও পুরশুড়া : 'আমি ঠিক আছি। আপাতত উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।' ফোনের ও-প্রান্ত থেকে ভেসে এসেছে বহু কাঙ্খিত শব্দগুলো। আর ঘরের লোক প্রায় ৪০০ ঘণ্টার পরে স্বাধীন হওয়াতে স্বস্তি-খুশির রেশ বাংলার তিন ঘরে। পরিবারের লোকজনের গাল বেয়ে নেমেছে আনন্দাশ্রুও।


উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা-বারাকোট সুড়ঙ্গের (Uttarakhand Tunnel Rescue) মাঝে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে ৩ জন ছিলেন বাংলার। তাঁদের মধ্যে ২ জনের বাড়ি হুগলির (Hooghly) পুরশুড়ায়। এই দুই যুবকের মধ্যে একজন হলেন পুরশুড়ার হরিণাখালি গ্রামের বাসিন্দা সৌভিক পাখিরা। অপরজন ছিলেন নিমডাঙ্গির বাসিন্দা জয়দেব প্রামাণিক। সঙ্গে ছিলেন কোচবিহারের বলরামপুরের মানিক তালুকদার। বাকিদের সঙ্গে উদ্ধার হয়েছেন তাঁরাও। পাশাপাশি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের।


উদ্ধার হওয়ার পর ফোনে মায়ের সঙ্গে কথা বলার সময় সৌভিক পাখিরার মা আনন্দে ফোনেই ছেলেকে জানান, 'সবাই তোর কথা শুনছে।' হাসিমুখে পাল্টা উত্তর আসে, 'আমিও শুনতে পাচ্ছি'। যে ফোন পাওয়ার পরই স্থানীয় মন্দিরে ছোটেন সৌভিকের মা। সেখানে পুজোর শেষে ভগবানকে ধন্যবাদ জানাতে দেখা যায় তাঁকে। এতদিন তো ঈশ্বরের ওপরই আস্থা ও মানুষের দক্ষতার ওপর ভরসা রেখে বসেছিলেন তিনি। খুশির বহর জয়দেবের বাড়িতেও। উদ্ধারের খবর পাওয়ার স্থানীয়দের সঙ্গে সেখানে মিষ্টি নিয়ে পৌঁছন সাংসদ অপরূপা পোদ্দারও।


মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই ভিড় থিকথিক করছিল তুফানগঞ্জের মানিক তালুকদারের বাড়িতেও। রাত ৮ টার খানিক আগে প্রথম শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। যার কিছুক্ষণের মধ্যে একে একে বের করে আনা হয় বাকিদের। যে সময়ে আনন্দে শঙ্খ বাজিয়ে ওঠেন মানিক তালুকদারের স্ত্রী। তাঁর স্ত্রী পরে জানান, 'ফোনে কথা হয়েছে। উনি জানান, সুস্থ আছেন।'                                                                       


আরও পড়ুন- যন্ত্র নয় ত্রাতা মানুষ, উদ্ধারকারীদের মুখে 'প্রাণ বাঁচিয়েছি এর থেকে খুশির কী হতে পারে'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।