কলকাতা: উত্তরপ্রদেশে ফের গেরুয়া ঝড়। ২৭৬টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। পাঞ্জাব বাদে বাকি চার রাজ্যের মধ্যে দুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি, বাকি দুটিতে একক বৃহত্তম। বিপুল জয়ের পর সন্ধে ৭টায় বিজেপির সদর দফতরে যাচ্ছেন মোদি, এমনটাই সূত্রের খবর। এদিকে কথাতেই আছে যে, ''উত্তরপ্রদেশ যার, দিল্লি তার"। সেই প্রসঙ্গ টেনেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপির সভাপতিইর গলাতেও শোনা গেল একই সুর। 


এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, "উত্তরপ্রদেশের এই ঝড় এটা প্রমাণ করল যে দিল্লির মসনদে ২০২৪ সালে আরও একবার বসছেন। তাঁর নেতৃত্বে ভারত্যীয় জনতা পার্টির সরকার গঠিত হবে। শুধু তাই নয়, এই জয়ের আরও কতগুলি আঙ্গিক আছে। যেমন উত্তরপ্রদেশে এই প্রথম প্রায় ৩৫ বছর পর কোনও একজন মুখ্যমন্ত্রী পর পর দু'বার জিতে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে দিকে এগিয়ে গেলেন। যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে আমরা সেখানে বিরাট জয় পেয়েছি। বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা গেছে ২০০ এর বেশিই আসনেই জয়লাভ করেছি। এই জয় মানুষকে উৎসর্গ করতে চাই। মোদিজির নেতৃত্বে অন্য অ্যাডভান্স ভারতে পরিণত হচ্ছে।  মানুষ এটিকেই সিলমোহর দিয়েছে। এই জয় পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মীদেরও মনোবল বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। সেই মনোবল নিয়েই গেরুয়া ঝড়কে এগিয়ে নিয়ে যাব। ২০২৪ এবং ২০২৬ সালে ভাল ফল করব। আগামী দিনে তৃণমূলকে পদচ্যুত করব।" 


https://www.facebook.com/abpananda/videos/651123165971862


রাজ্য সভাপতি এও বলেন, "উত্তরপ্রদেশে একটি প্রথা রয়েছে। একবার মুখ্যমন্ত্রী হলে পরের বার আর তা হওয়া যায় না। আমরা এবার সেই ইতিহাস বদলাতে পেরেছি। এবার আগের বারের মতোই জিতেছি উত্তরপ্রদেশে। বাংলায় স্লোগান আছে যে যাঁদের মাথায় দিদির হাত, তাঁরাই খাচ্ছে জেলের ভাত। অখিলেশ যাদবের ভাগ্য ভাল হেরেছেন এখনও জেলে যাননি।" 


উত্তরপ্রদেশে ৪০৩ আসনের বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ২০২। তা গণনা শুরু হতে হতেই পেরিয়েছে গেরুয়া শিবির। এদিকে, আগের বারের থেকে ভোট শতাংশ বাড়লেও যোগীর দাপটে কার্যত কোণঠাসা মুলায়ম-পুত্র অখিলেশ। এ প্রসঙ্গে এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির গলায় ছিল কটাক্ষের সুর। 
 
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অখিলেশের সমর্থনে সভাও করেন তিনি। সে প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, "উনি ওখানে গিয়ে হাথরসের গল্প বলেছেন, লখিমপুর খেরির গল্প বলেছেন। আর এই দুই জায়গায় বিজেপি সবকটি আসনে এগিয়ে আছে। মাঝখান থেকে দিদিমনি গিয়ে উল্টোপাল্টা হিন্দি বলে অখিলেশের দোকান বন্ধ করে দিয়ে এসেছেন।" 


উল্লেখ্য, গণধর্ষণকাণ্ডে উত্তপ্ত হাথরস ও কৃষক মৃত্যুতে উত্তপ্ত লখিমপুর খেরিতে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস ২ ও বহুজন সমাজ পার্টি ৪টি আসনে এগিয়ে। গোরক্ষপুর সদর আসনে যোগী আদিত্যনাথ ও কারহাল আসনে এগিয়ে রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব।