সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: হাতির তাণ্ডবে আতঙ্ক ছড়াল পুরুলিয়ায় (Purulia Elephant Attack)। আরশা ব্লকের নুনিয়া গ্রামের ঘটনা। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, সেখানকার রেশন দোকানের দরজা ভেঙে রেশনের সামগ্রী নষ্ট করেছে হাতি। তা ছাড়া গ্রামেরই বেশ কয়েকটি বাড়ি থেকে ধান খেয়ে ঘরবাড়িও নষ্ট করে।
অভিজ্ঞতা...
শনিবার রাত ১২টা নাগাদ বুনো হাতিটি গ্রামে ঢুকে প্রথমে রেশন দোকানের দরজা ভাঙে বলে জানান নুনিয়া গ্রামর বাসিন্দারা। একজনের কথায়, 'আমরা আওয়াজ পাই। প্রথমে ভেবেছিলাম বোধহয় চোর এসেছে। পরে বেরিয়ে দেখি, হাতিটি কিছুটা দূরে অন্য একটি ঘর থেকে ধান, আলু বের করে খাচ্ছিল।' আতঙ্কের হিমস্রোত বয়ে যায় শিরদাঁড়া বেয়ে। ওর মধ্যেই এক জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে খবর দেন। সেখান থেকে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে খবর যায়। বড়বাবু আসেন। খবর যায় বন দফতরে। সেখান থেকে হুলা পার্টি এসে হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে বলে খবর। তবে হাতির তাণ্ডব ও আতঙ্কের এই ছবি নতুন নয়। কম-বেশি আকছার এই ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় পুরুলিয়ার বহু মানুষকে। ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়াতেই যেমন লোকালয়ে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বুনো হাতির পাল।
ঝালদার ঘটনা...
পুরুলিয়ার ঝালদা বনাঞ্চলের কলমা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ওই ঘটনায় স্কুলের দেওয়াল ভেঙে মিড ডে মিলের চাল, ডাল খেয়ে তাণ্ডব চালায় হাতির পাল। এলাকার খেতে সবজি, ফসল নষ্ট করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বাড়িও ভেঙে দিয়েছিল প্রায় ৩০টি বুনো হাতির একটি দল। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, লাগোয়া ঝাড়খণ্ড থেকে প্রায় ৩০টি বুনো হাতির একটি দল ঝালদার কলমা এলাকার মাহাতমারা, কোচাজারা, বাঁদুলহর এলাকায় লোকালয়ে ঢুকে রাতভর তাণ্ডব চালায় । বাঁদুলহর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেওয়াল ভেঙে মিড ডে মিলের চাল, ডাল খায়। পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি বাড়িও ভেঙে দেয়। মাহাতমারা, কোচাজারা এলাকায় সবজি, ফসল নষ্ট করে দেয় । বাড়িতে ঢুকে ধান খেয়ে, মাড়িয়ে দেয় । রাতভর বেশ কয়েকটি গ্রামে তাণ্ডব চালানোর পর জঙ্গলে প্রবেশ করে হাতির দলটি।ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায় । খবর পেয়ে পর দিন সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বন দফতরের আধিকারিকরা। এলাকাবাসীর দাবি ছিল, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং হাতির দলের উপর নজরদারি চালাতে হবে । যাতে আগামীদিনে গ্রামে হাতি না প্রবেশ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে বন দফতরকে।
আরও পড়ুন:নামে ‘রিসার্চ’ শব্দ ব্যবহারে শর্ত, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্দেশিকা রাজ্যের