সন্দীপ সরকার, কলকাতা: গবেষণার নামে অনুদানের টাকা নয়ছয় রুখতে পদক্ষেপ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের নামের মধ্যে রিসার্চ শব্দটি থাকলে, দেখাতে হবে গবেষণার প্রমাণ। নথি দেখাতে না পারলে, লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ হবে না বলে নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফর। (West Bengal Health Department)


স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান কি সক্রিয় গবেষণার সঙ্গে যুক্ত, হাসপাতালে গবেষণার জন্য যোগ্য লোক কি না, এই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের নামের মধ্যে রিসার্চ শব্দটি থাকলে, দেখাতে হবে গবেষণার প্রমাণ। ক্লিনিক‍্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রুলের 4-এর 2C ধারাকে উদ্ধৃত করে রাজ্যের সব বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলির জন্য নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। (Swasthya Bhawan Guidelines)

এই ধারায় বলা আছে, লাইসেন্সিং অথরিটির অনুমতি ছাড়া কোনও বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান তাদের নামে রিসার্চ শব্দটি ব্যবহার করতে পারবে না। রিসার্চ শব্দটি ব্যবহার করতে হলে চিকিৎসা গবেষণা সংক্রান্ত বিস্তারিত নথি জমা দিতে হবে লাইসেন্সিং অথরিটিকে।


আরও পড়ুন: National Medical Commission: হস্টেল নিতে বাধ্য করা যাবে না ডাক্তারি পড়ুয়াদের, অন্যথায় কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি


স্বাস্থ্য ভবনের সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোনও বেসরকারি চিকিৎসা সংস্থাকে রিসার্চ ইন্সটিটিউট তকমা পেতে এবং সেই তকমা ধরে রাখতে হলে -
১) প্রতিষ্ঠানকে সক্রিয় গবেষণার সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে
২) হাসপাতালের নিজস্ব বৈধ এথিক্স কমিটি থাকতে হবে
৩) হাসপাতালে যোগ্য লোক থাকতে হবে গবেষণার জন্য
৪) থাকতে হবে হাসপাতালের আলাদা গবেষণা বিভাগ।
৫) গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য কোন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, জমা দিতে হবে তার নথি
৬) গবেষণার বিষয়ের ওপর intellectual property right চেয়ে হাসপাতাল যে আবেদন করেছে তার নথি লাগবে
৭) গবেষণার বিষয়বস্তুর ওপরে পেটেন্ট পাওয়া গিয়েছে কিনা, বা পেটেন্টের জন্য আবেদন করা হয়েছে কিনা- লাগবে সেই নথিও
৮) লাগবে, প্রতিষ্ঠানে PHDএবং Mphil পড়ানো হয় কিনা সেই সংক্রান্ত অনুমোদনের নথি
৯) প্রতিষ্ঠান কোনও গবেষণা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কিনা তাও জানাতে হবে

পাশাপাশি, স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গবেষণার জন্য আইসিএমআর বা কোনও সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অনুদান মিলেছে কিনা, মিললে গবেষণা শেষের পর fund utilization statement জমা দেওয়া হয়েছে কিনা, দিতে হবে সেই সংক্রান্ত নথিও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শুধুমাত্র কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় কুড়িটিরও বেশি এইরকম বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান আছে, যাদের নামের সঙ্গে আছে রিসার্চ শব্দটি।