আবীর ইসলাম, বোলপুর: প্রায় এক সপ্তাহ গড়ালেও জট কাটল না এখনও পর্যন্ত। বরং হস্টেল খোলা-সহ তিন দফা দাবিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva Bharati) চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। রবিবার সেন্টার অফিসের সামনে সকাল থেকে চলছে বিক্ষোভ। তার আগে রাতে আশ্রম চত্বরেও মিছিল করেন পড়ুয়ারা।
অতিমারির (COVID Pandemic) প্রকোপ কমলেও এতদিনেও কেন হস্টেল খোলা হচ্ছে না (Demand of reopening Hostel), তা নিয়ে বিক্ষোভ চলছে বেশ কিছু দিন ধরেই। কর্তৃপক্ষের তরফে আশ্বাস দেওয়া হলেও, কাজের কাজ এখনও হয়নি বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Bidyut Chakrabarty) উপরও তাই ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে পড়ুয়াদের। এ দিন মিছিল চলাকালীন বেশ কয়েক জনের টি-শার্টে উপাচার্যের উদ্দেশে কটাক্ষপূর্ণ শব্দ লেখা ছিল যেমন, ‘বিদ্যুতের বাড়লে তেজ, কমিয়ে দাও ভোল্টেজ’।
পড়ুয়াদের দাবি খতিয়ে দেখতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং রেজিস্ট্রারের তত্ত্বাবধানে প্রতিনিধি দল নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ কমিটি। হস্টেলের অবস্থা পরিদর্শন করে, তার মধ্যে থেকে ব্যবহারযোগ্যগুলি খুলে দেওয়ার সুপারিশ করবে ওই কমিটি।
আরও পড়ুন: 'কার্ফুর সময়ে ভারতীয় পতাকা হাতে পৌঁছন লিভে', বাড়ি ফিরেও আতঙ্কে সিঙ্গুরের রাজলক্ষ্মী ।Bangla News
কিন্তু পড়ুয়াদের অভিযোগ, সাত দিন পার হয়ে গেলেও, তাঁদের সঙ্গে এ নিয়ে কোও কথা বলতে চাইছেন না কর্তৃপক্ষ। কবে পরিদর্শনে যাবে ওই কমিটি, কবেই বা হস্টেল খোলা হবে, কিছু জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ। তাই এখনও বিক্ষোভ চলছে। সেন্ট্রাল অফিসের সামনে দেওয়ালে নিজেদের দাবি-দাওয়া লিখে রেখেছেন পড়ুয়ারা। সেখানে ঢোকার মুখে লেখা রয়েছে, ‘উন্নত জেলখানা’।
বিশ্বভারতীর এই বিক্ষোভ কলকাতা হাই কোর্টেও এসে পৌঁছেছে। সেখানে বিচারপতি রাজশেশৃখর মান্থার জানিয়ে দেন যে, আন্দোলন করা গণতান্ত্রিক অধিকার। এ ব্যাপারে আদালত কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আধিকারিকের যাতায়াতের পথ অবরুদ্ধ করা যাবে না। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আদালতে পুড়য়াদের যাবতীয় দাবি-দাওয়া হলফনামার আকারে জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছিলেন নির্দেশ বিচারপতি মান্থার।
স্কুল-কলেজ চালু হয়ে গিয়েছে সর্বত্র। শিথিল হয়ে গিয়েছে কোভিড বিধিও (COVID Restrictions)। অথচ বিশ্বভারতীর হস্টেল বন্ধ এখনও। তা নিয়েই ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল বিশ্বভারতী। লাগাতার বিক্ষোভ চলছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। অবিলম্বে হস্টেল খুলে দিতে হবে বলে দাবি জানাচ্ছেন পড়ুয়ারা।