কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) শুধু ৭ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) কেন? যা পরিস্থিতি, তাতে সব জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হওয়া উচিত। নইলে সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে ভোটের ডিউটি করাই অসম্ভব হয়ে উঠবে। ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা চেয়ে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যাব। এমনটাই জানালেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ (Bhaskar Ghosh)। 

পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবিতে, গোড়া থেকেই সরব বিরোধীরা। এনিয়ে রাজভবন থেকে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস, বিজেপি। মঙ্গলবার সেই দাবিতে কার্যত সিলমোহর দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে হবে পঞ্চায়েত ভোট। নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইলে, তৎক্ষণাৎ তার ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র।নির্দেশ দিল আদালত।  

কলকাতা হাইকোর্টের রায়: শুধু রাজ্য় পুলিশ নয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে হবে পঞ্চায়েত ভোট। মঙ্গলবার গুরুত্বপূর্ণ রায়ে জানিয়ে দেয়ল কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরে রাজ্য় সরকারের দেওয়া রিপোর্ট পর্যালোচনা করে, যেখানে রাজ্য় পুলিশের অপ্রতুলতা থাকবে সেখানে কমিশনকে আধা সামরিক বাহিনী অবিলম্বে মোতায়েন করতে হবে। 

শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সব পদক্ষেপ করবে কমিশন। কমিশন যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায়, তাহলে তৎক্ষণাৎ তার ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র। বাকি জেলার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তারপর কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইবে। কমিশন বাহিনী চাইলে কেন্দ্রীয় সরকার তা দেবে। 

কী বললেন বিচারপতি: মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি বলেন, রাজ্য় নির্বাচন কমিশন যে জেলা এবং এলাকাগুলোকে স্পর্শকাতর মনে করছে, সেখানে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার ব্য়বস্থা করবে। এরপর রাজ্য় সরকারের দেওয়া রিপোর্ট পর্যালোচনা করবে রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। বাকি যেসব জায়গায় রাজ্য় পুলিশ অপ্রতুল, সেই সমস্ত জায়গায় অবিলম্বে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েনের ব্য়বস্থা করবে রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, সময় নষ্ট না করে, দ্রুত বাহিনীর ব্য়বস্থা করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি, যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পুরো খরচ কেন্দ্রীয় সরকারকে বহন করতে হবে, রাজ্য়ের ওপর দেওয়া যাবে না। 

শুভেন্দু অধিকারী ও অধীর চৌধুরীর দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট এই গুরুত্বপূর্ণ রায় দেওয়ায় অত্য়ন্ত খুশি বিরোধীরা। বিরোধীদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিকে মান্যতা দেওয়ার পাশাপাশি, হাইকোর্ট জানিয়েছে, পঞ্চায়েতের ত্রিস্তর অর্থাৎ পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ভোটের গণনা একসঙ্গে করতে হবে। এদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য় অন্য রাজ্য থেকে ১৫ ব্যাটেলিয়ন পুলিশ চেয়েছে রাজ্য সরকার।