রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A জোটে শামিল হলেও, বাংলায় কংগ্রেসের উপর ভরসা করে বসে না থেকে, কার্যত 'একলা চলো' নীতি অনুযায়ী দলকে চলার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  সেই নিয়ে এবার মমতাকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর দাবি, ২০১৯ সালের আগেও একই দাবি করেছিলেন মমতা। এবারও আসন খুইয়ে ধাক্কা খেয়ে চুপ করে যেতে হবে বলে দাবি তাঁর। (Lok Sabha Elections 2024)


শনিবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলীপ। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মমতা ৪২টির মধ্যে ৪২ আসনের লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে বলেন, "২০১৯ সালেও একই কথা বলেছিলেন উনি। কিন্তু ওঁর থেকে ১২টি আসন নিয়ে নিয়েছিলাম আমরা। আরও ১২টি আসন গেলে, ধাক্কা খেয়ে চুপ করে যাবেন উনি। আর দিল্লির কথা বলবেন না। দলকে বাঁচিয়ে রাখুন। নেতাদের বাঁচান। যেভাবে উইকেট পড়ছে, ইডি-সিবিআই যেভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, ভোটের আগে নেতা থাকবে তো? মানুষ চাইছেন, বাংলা থেকে এঁরা সাফ হোন।"


লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় স্তরে হাত মিলিয়েছে তৃণমূল এবং কংগ্রেস। কিন্তু বাংলায় এখনও পর্যন্ত লাগাতার তৃণমূলকে আক্রমণই করে চলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁকেও কটাক্ষ করেন দিলীপ। তাঁর বক্তব্য, "আগামী নির্বাচনে বিজেপি জিততে চলেছে। কে দু'নম্বরে আসবে, সেই নিয়ে লড়াই চলছে। এতে বিজেপি-র কিছু যায় আসে না। আমাদের দালাল ধরার প্রয়োজন নেই।"


আরও পড়ুন: Reliance Industries: ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধন, দেশব্যাপী সব কর্মীদের ছুটি দিল রিলায়্যান্স


আগামী সপ্তাহে অযোধ্যায় নবনির্মিত রামমন্দিরের উদ্বোধন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে 'রামলালা' অর্থাৎ রামচন্দ্রের শিশুকালের মূর্তিতে। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি মন্দির উদ্বোধনের ওই অনুষ্ঠানকে প্রচারমঞ্চে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। কেন্দ্রের তরফে ওই দিন সরকারি কর্মীদের জনম্য অর্ধদিবসের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। একাধিক রাজ্যও ইতিমধ্যে ছুটির ঘোষণা করেছে। বাংলা থেকে এখনও তেমন ঘোষণা হয়নি যদিও, তবে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সেই মর্মে আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।


যদিও রামমন্দিরে ভিড় করা নিয়ে আগেই সতর্ক করেছে কেন্দ্র। দলে দলে গিয়ে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে একমত দিলীপও। তাঁর মতে, কোটি কোটি মানুষ ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা যেতে আগ্রহী। কিন্তু অযোধ্যা ছোট্ট একটি শহর। এত মানুষের জন্য ব্যবস্থাপনা অসম্ভব। বরং দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ২২ জানুয়ারির পর সব রাজ্যকে আলাদা আলাদা সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানান দিলীপ। তিনি জানিয়েছেন, হাওড়া থেকে প্রথম আস্থা স্পেশাল ছাড়বে ২৯ জানুয়ারি। পাঁচটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৬০০ টাকা টিকিটের দাম। ট্রেনে ওঠা থেকে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত কেন্দ্র সব সামলাবে বলে জানান দিলীপ।জানান, গোটা দেশকে চারটি আলাদা জোনে ভাগ করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী পরিচয়পত্র বিলি করা হবে।