কলকাতা: 'বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে' (Vande Bharat Express) হামলার ঘটনায় এ বার বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি-র (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। শুভেন্দু অধিকারীর সুরে গলা মিলিয়ে তিনিও একই অভিযোগ করলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে দেখে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগানেরই পরিণতি এই হামলা, মত সুকান্তর। শুধু তাই নয়, এই হামলা ঘটানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে দেখে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগানেরই পরিণতি এই হামলা, মত সুকান্তর
যাত্রা শুরুর দ্বিতীয় দিন মালদায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর। সেই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, "মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে জয় শ্রীরাম বলায় তাঁর হয়ত রাগ আছে। এনআরসি-র সময় যাদের দিয়ে ট্রেন পোড়ানো হয়েছিল, তাদের দিয়েই হামলা চালানো হয়েছে।"
এর আগে, একই অভিযোগ তুলেছিলেন শুভেন্দু। সমাজ মাধ্যমে প্রশ্ন তোলেন তিনি, 'বন্দে ভারতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম স্লোগান ওঠার বদলা নয় তো?' এই ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নামানোর দাবিও তোলেন শুভেন্দু। প্রধানমন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। যদিও তৃণমূল তাঁর অভিযোগ খারিজ করে দেয়।
আরও পড়ুন: SSC Babita Sarkar : 'ববিতা নন, চাকরির প্রকৃত দাবিদার অনামিকা' দাবি জানিয়ে আদালতে দায়ের মামলা
বাংলাকে কালিমালিপ্ত করতেই চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করে জোড়াফুল শিবির। দলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "প্রথমে পাথর ছুড়ে বিবৃতি দিয়ে নোংরা রাজনীতি। পুরোটাই পরিকল্পিত চিত্রনাট্য। কারা বন্দে ভারতের ক্ষতি চাইবে?" গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে দাবি জানান।
যাত্রা শুরুর দ্বিতীয় দিন মালদায় আক্রান্ত হয় হাওড়াগামী ডাউন 'বন্দে ভারত এক্সপ্রেস'
উল্লেখ্য, যাত্রা শুরুর দ্বিতীয় দিন মালদায় আক্রান্ত হয় হাওড়াগামী ডাউন 'বন্দে ভারত এক্সপ্রেস'। অভিযোগ, মালদার কুমারগঞ্জ স্টেশনের কাছে ছোড়া হয় পাথর। তাতে ভেঙে যায় ট্রেনের C-13 কামরার দরজার কাচ। ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনের জানলাও। এই ঘটনায় নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলের তরফে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সামসি স্টেশনে RPF-এর কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি, কাটিহার
ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কত দূর থেকে পাথর ছোড়া হয়েছিল, এই ঘটনায় কারা যুক্ত, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন রেলের আধিকারিকরা।