সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগণা: ভাটপাড়ার (Bhatpara) ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল স্কুলের বুথে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে 'ছাপ্পা ভোট'-র (False Vote )অভিযোগ। বিরোধী এজেন্টদের অভিযোগ,' পরিচয়পত্র ছাড়াই অনেকে ভোট দিচ্ছেন। 'পুলিশের সামনেই ছাপ্পা ভোট চলছে', বলে অভিযোগ। তবে এখনও অবধি তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


আরও পড়ুন


বুথ চত্বরে সাংবাদিকদের ঢুকতে বাধা, তুলকালাম পানিহাটি ভোট কেন্দ্র


একুশের ছায়া বাইশেও


একুশের ছায়া বাইশেও (WB By Poll 2022)। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ করেছিল শাসক বিরোধীরা। সেবারও একের পর এক ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠে আসে সকাল থেকেই। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখে ছুটে পালাতে দেখা যায় ভুয়ো ভোটারকে। সল্টলেকে প্রয়াত শিল্পীর নামেও পড়ে ভোট। তার পরেই ক্ষোভের আগুন উগরে দেয় বাম-বিজেপি। মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। একুশের বিধানসভার পর এখনও অবধি কলকাতা-সহ জেলা ভিত্তিক যতগুলি নির্বাচন হয়েছে, বিজেপির মুখে ঘুরেছে একটাই কথা, 'চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী।' যদিও তাতে চিড়ে ভেজেনি। বরবরারের মতোই রাজ্য পুলিশই বুথ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় রয়েছে। আর এদিনও সেই ছায়াই দেখা গেল ভাটপাড়ায়। পুলিশের সামনেই ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠল সেখানে। এই মাত্র পাওয়া খবরে, ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বাগডোগরা গার্লস স্কুলে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। আহত বিজেপি প্রার্থীর এজেন্ট। মেরে গাল ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 'গোটাটাই নাটক', কটাক্ষ শাসকদলের।


বেলা বাড়তেই একের পর এক অভিযোগ


এদিন সকালে নির্দিষ্ট সময়েই ভোটগ্রহণ শুরু হয় ওয়ার্ডগুলিতে।সাতসকালেই পানিহাটি উপনির্বাতন কেন্দ্র থেকে আসে অভিযোগ। বুথ চত্বরে সাংবাদিকদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশের তরফ থেকেই এই বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তবে সংবাদমাধ্যমে এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই, খবর যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনেও। এরপরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে, বুথ চত্বরে সাংবাদিকদের প্রবেশের বাধা তুলে নেওয়া হয়। এদিকে বেলা বাড়তেই এবার ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে ভাটপাড়ায়।প্রসঙ্গত, সারা বছর ধরেই ভাটপাড়ায় কিছু না কিছু রাজনৈতিক বিতর্ক লেগেই থাকে। কখনও বোমাবাজি, আবার কখনও গন্ডোগোল। যার জন্য এই কেন্দ্রে কড়া নজরও রাখে কমিশন। যদিও আটোসাটো নিরাপত্তার মাঝেই প্রকাশ্যে এল ছেঁদ। 'পুলিশের সামনেই ছাপ্পা ভোট চলছে', বলে উঠল অভিযোগ। তবে এত কাণ্ডের পরেও এখনও মুখ খোলেনি রাজ্যের শাসকদল।