কলকাতা : দিনহাটায় ভোট ব্যবধানের রেকর্ড তৃণমূলের। ধুয়ে সাফ নিশীথ ম্যাজিক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বুথে বিজেপির চেয়ে প্রায় চার গুণ ভোট বেশি পেলেন উদয়ন। দিনহাটায় উনিশ রাউন্ডের শেষে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ০৭ ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ। দিনহাটায় বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডলের বুথেও হারল বিজেপি। বিজেপি পেয়েছে ১৫৬টি ভোট। তৃণমূল পেয়েছে ৪৬১টি ভোট।
রাজ্য বিধানসভার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ। অন্যদিকে নিশীথ প্রামাণিকের বুথেই প্রায় চার গুণ বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূল। নিজের ওয়ার্ডে দলকে জেতাতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডলও। কথায় বলে ‘মর্নিং শো’স দ্য ডে’। মঙ্গলবার সকালে দিনহাটা কলেজে ভোট গণনা শুরু হতেই ইঙ্গিত মিলেছিল, এই দিনটা দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ-র।
ইভিএম খুলতেই উসেইন বোল্টের গতিতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অশোক মণ্ডলকে পিছনে ফেলে দেন উদয়ন গুহ! এরপর গোটা দিন কার্যত ছিল নিয়মরক্ষার গণনা! রাউন্ড যত এগিয়েছে উদয়ন গুহর ব্যবধানও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। দিনের শেষে বিজেপি প্রার্থীকে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫ ভোটে হারিয়ে দিলেন তৃণমূল প্রার্থী।
অথচ ২০২১-এর বিধানসভা ভোটেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী থেকেছিল দিনহাটা। তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহকে ৫৭ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। এরপর কোচবিহারের সাংসদ পদ রেখে দিনহাটার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন নিশীথ। তারফলেই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। আর তাতেই বাজিমাত করল রাজ্যের শাসকদল।
আজ রাজ্যের চার বিধানসভার উপনির্বাচনের ভোট গণনা হয়। এই চার কেন্দ্রের মধ্যে ২টিতে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা, ২টি পেয়েছিল বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা বিধানসভা কেন্দ্র গত বিধানসভা নির্বাচনে ২৮ হাজার ১৮০ ভোটে জেতেন তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিন্হা। তবে ফল ঘোষণার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রে গত নির্বাচনে ২৩ হাজার ৭০৯ ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী জয়ন্ত নস্কর। কিন্তু, পরে তাঁর মৃত্যু হওয়ায়, এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। কোচবিহারের দিনহাটা কেন্দ্রে গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহকে ৫৭ ভোটে হারান বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। তবে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে তিনি সাংসদ পদ রেখে দেন। নদিয়ার শান্তিপুরে গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির জগন্নাথ সরকার ১৫ হাজার ৮৭৮ ভোটে জয়ী হন। তবে নিশীথ প্রামাণিকের মতো জগন্নাথ সরকারও বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে সাংসদ পদ রেখে দেন।