কলকাতা: ২৬ মার্চ রাজ্যের ৬টি পুরসভার (Municipality) উপনির্বাচন হয়েছে। আজ ফল ৬টি পুরসভার ৬টি ওয়ার্ডের ফল প্রকাশ। গণনা পর্ব ঘিরে প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা তুঙ্গে। ফল ঘোষণা ঘিরে সরগরম রাজ্যের ৬ পুরসভার ৬টি ওয়ার্ড। কোথাও ব্যবধান ৬ গুণ বাড়িয়ে ৭৭৮ ভোটে জয়ী কংগ্রেস (Congress)। কোথাও আবার তৃণমূলের (TMC) কাছ থেকে ওয়ার্ড ছিনিয়ে জয় সিপিএমের। ৬ পুরসভার মধ্যে ঝালদা পুরসভার (Jhalda Muni) নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ২ নম্বর ওয়ার্ড যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে পানিহাটির নিহত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তর ৮ নম্বর ওয়ার্ডও।
ঝালদা পুরসভা: ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে জয়ী হলেন কংগ্রেস প্রার্থী মিঠুন কান্দু। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের পর উপনির্বাচন হয়। উপনির্বাচনে কংগ্রেস ধরে রাখল ওয়ার্ড। ৭৭৮ ভোটে জয়ী হলেন নিহত তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু। জয়ের পর তিনি দাবি করেন, এই ফলাফল প্রত্যাশিতই ছিল। অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী জগন্নাথ রজক পরাজয়ের জন্য ঝালদার তৃণমূল নেতা কর্মীদের একাংশের অন্তর্ঘাতকেই দায়ী করেছেন। এই ওয়ার্ডে ৯৩০ ভোট পেয়েছেন মিঠুন কান্দু। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ১৫২ ভোট আর বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ৩৩ ভোট।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার: দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী বনশ্রী চট্টোপাধ্যায়। এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী। উত্তর ২৪ পরগনার ৪টি ওয়ার্ডেই গেল তৃণমূলের হাতে। চারটি ওয়ার্ডেই দ্বিতীয় স্থানে সিপিএম।
পানিহাটি পুরসভা: পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হলেন নিহত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তর স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। অনুপম দত্ত খুন হওয়ার পর এই ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হয়। অনুপমের স্ত্রী মীনাক্ষীকে এই ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। তিনি ২ হাজার ২৭৪ ভোটে জয়ী হয়েছেন। জয়ের পর খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানান তিনি। এই ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী।
দমদম পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী। তৃণমূলের তাপস রায় পেয়েছেন ৪৪৫ ভোট। এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী। তিনি পেয়েছেন ৬৫টি ভোট।
ভাটপাড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড ধরে রাখল তৃণমূল। এই ওয়ার্ডে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী কনকলতা দাস। ওই ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিপিএম।
চন্দননগরে ৩ দশক পর বাম: তৃণমূলের কাছ থেকে চন্দননগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ছিনিয়ে নিল সিপিএম। ব্যবধান ১৩০ ভোটের। ৩২ বছর পর ওয়ার্ড দখল বামেদের। লাল আবিরে রঙিন এলাকা। চন্দননগর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটে জয়ী হল সিপিএম। এই ওয়ার্ড হাতছাড়া হল তৃণমূলের। ১৩০ ভোটে জয়ী হলেন সিপিএম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। এই ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। ৩২ বছর পর এই ওয়ার্ড পেল বামেরা।