আশাবুল হোসেন, দীপক ঘোষ ও সমীরণ পাল, কলকাতা: ফের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose) তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যপাল পদ তুলে দেওয়ার দাবি জানালেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যপালকে দিয়ে সমান্তরাল সরকার চালানোর অভিযোগ তুললেন। রাজ্যপালকে পালের গোদা বলেও কটাক্ষ করেন মমতা। সেই নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। (Kolkata News)


যে ভাবে রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে লাগাতার টানাপোড়েন চলছে, তাতে ধনকড় জমানার স্মৃতি ফিরছে


লাগাতার রাজ্য এবং রাজভবনের মধ্যেকার সংঘাতে উত্তাপ বেড়ে চলেছে রাজ্য রাজনীতির। তাতে রাজ্যপাল বোসের পূর্বসূরি জগদীপ ধনকড় জমানার স্মৃতি ফিরে আসছে অনেকের মনেই। সেই আবহেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালকে একহাত নিলেন মমতা। 


শনিবার এবিপি আনন্দে এ নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। বলেন, "রাজ্যপালের কী প্রয়োজন? রাজভবনগুলিকে মিউজিয়াম করে দিন। রাজ্যপালের কোনও প্রয়োজন নেই। যখন ব্রিটিশরা ছিল, তখন প্রয়োজন ছিল। এখন গণতান্ত্রিক সরকার চালাবে, রাজভবনের জায়গায়, রাজ্যপাল যে শপথবাক্য পাঠ করান, সেটা প্রধান বিচারপতি দেবে দরকার হলে। এটাই নিয়ম করে দিন। রাজ্যপালের থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রত্যেক রাজ্যে রাজ্যপালকে দিয়ে সমান্তরাল সরকার চালানো হচ্ছে।"


আরও পড়ুন: JP Nadda : 'পিসি আর ভাইপোর পরিবারবাদ চলছে বাংলায়' সুর চড়ালেন নাড্ডা, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সারলেন বৈঠক


গত কয়েক মাস ধরেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের উত্তাপ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বের অশান্তি নিয়ে বার বার কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্য়পাল। রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি পৌঁছে গেছেন গ্রাউন্ড জিরোয়। অশান্তির অভিযোগ শুনতে রাজভবনে বেনজিরভাবে খুলেছেন পিস রুম। সম্প্রতি আবার দুর্নীতির অভিযোগ শুনতে রাজভবনে অ্য়ান্টি করাপশন সেলও খোলেন তিনি। উচ্চশিক্ষায় রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ নিয়েও সমালোচনায় সরব রাজ্য সরকার।


রাজ্যপালকে রাজনৈতিক দল গড়ে, ভোটে জিতে আসতেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন মমতা


এসব নিয়ে রাজ্য় সরকারের সঙ্গে রাজ্য়পালের সংঘাতের পারদ দিনে দিনে চড়ছে। তার মধ্য়ে মুখ্য়মন্ত্রীও যেভাবে সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন, তাতে এই টানাপোড়েন কোথায় গিয়ে থামবে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলেই। এর আগেও, রাজ্যপালকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন মমতা। প্রশাসনিক ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার আগে নিজের দল গড়ে, ভোটে জিতে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন।