সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: দাবদাহের আঁচ পাওয়া গিয়েছিল মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকেই (West Bengal Temperature)। এপ্রিলের মাঝামাঝি যত সময় এগিয়েছে, ততই অসহ্য হয়ে উঠেছে গরম। বৈশাখের শুরুতেই এ বার রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ জেলায় তাপপ্রবাহের (Heat Wave Alert) সতর্কতা জারি হল। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান, রাজ্যের এই পাঁচ জেলায় শনিবার তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। শুক্রবারই রাজ্যের দুই জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি ছিল। পাশাপাশি, দক্ষিণবঙ্গের কোনও কোনও জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।


তাপমাত্রায় রেকর্ড তৈরি হচ্ছে নিত্যদিন


চলতি মরসুমে শুক্রবার বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড গড়েছে। গতকাল সেখানেকার তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড়ের তাপমাত্রা ছিল ৪৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল আসানসোলের। এ ছাড়াও পুরুলিয়া, কলাইকুন্ডা এবং শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রাও গত কাল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে।


আরও পড়ুন: zakaria street Chaos: জাকারিয়া স্ট্রিটে 'আক্রান্ত' তৃণমূল কাউন্সিলর, ৭ জনকে গ্রেফতার


এ ছাড়াও, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির (Rainfall) পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং পূর্ব মেদিনীপুরের বৃষ্টির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয়বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। এর ফলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।


রাজ্য জুড়ে তাপমাত্রার দাপট


নতুন বাংলা বছরের শুরুতেই (bengali new year) তুঙ্গে তাপমাত্রার দাপট। শুক্রবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় তাপপ্রবাহ  লক্ষ্য করা গিয়েছে। একাধিক জেলায় গরমের দাপটে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। গতকাল ,স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি হয়ে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস


শুধু বাংলা নয়, নতুন বছরের শুরুতেই গোটা দেশে তাপপ্রবাহ  নিয়ে সতর্কতা জারি করেন আবহবিদরা।  চিকিৎসকেরা জানান, তাপপ্রবাহের জেরে বাড়তে পারে হিটস্ট্রোকের সম্ভাবনা। তা থেকে বাঁচতে ফুলহাতা জামা, সানগ্লাস পরে এবং ছাতায় মাথায় দিয়েই বাড়ির বাইরে পা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। শরীরে জলের পর্যাপ্ত জোগান, ফলমূল বেশি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। এড়িয়ে চলতে বলছেন তেল-মশলা দেওয়া খাবার।