কলকাতা : বউবাজারের জাকারিয়া স্ট্রিটে ধুন্ধুমার। তৃণমূল কাউন্সিলরের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল নির্দল কাউন্সিলরের স্বামীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা অভিযোগ অপর পক্ষের। ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে বৌবাজার থানার পুলিশ। 


কাউন্সিলরের ভাইকে 'মারধর' 
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুটারে চড়ে জাকারিয়া স্ট্রিট দিয়ে যাচ্ছিলেন ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ জসিমউদ্দিনের ভাই। অভিযোগ, তিনি নীরজ নামে এক যুবককে ধাক্কা দেন। তার জেরে কাউন্সিলরের ভাইকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার কথা জানতে পেরে অনুগামীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জসিমউদ্দিন। 


' জসিমউদ্দিনকে বেধড়ক মারধর '
রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। তৃণমূলের অভিযোগ, মহম্মদ জসিমউদ্দিনকে বেধড়ক মারধর করে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর আয়েষা কানিজের স্বামীর অনুগামীরা। জসিমউদ্দিনের অনুগামীরাই বাঁশ, রড নিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন নির্দল কাউন্সিলরের স্বামী।


 



প্রহৃত তৃণমূল কাউন্সিলরের অভিযোগ
তৃণমূলের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহম্মদ জসিমুদ্দিন জানান, তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে ধরে দেড়শো-দুশো জন। তাঁরা ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আয়েষা কানিজের অনুগামী বলেই অভিযোগ তার। ঘিরে ধরার পর তাঁকে 'কাবাব বানানোর লোহার স্টিক, বাঁশ-লাঠি, হকি স্টিক' নিয়ে আক্রমণের চেষ্টা হয় বলেই অভিযোগ তাঁর। ধস্তাধস্তির মাঝে তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থলে কিছুক্ষণের মধ্যে বৌবাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও ‘জসিমুদ্দিনের ঘনিষ্ঠরাই বাঁশ, রড নিয়ে হামলা চালিয়েছে’ পাল্টা অভিযোগ ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর আয়েষার স্বামীর ইরফান আলি তাজ।


অন্যদিকে, তিনদিন পরেও বেহালার চড়কতলায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাপন। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’ পক্ষের ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয় বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চার অনুগামীকে। সোমনাথ এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়দের একাংশ।