ক্যানিং: ক্যানিং-এর জনসভা থেকে তৃণমূলকে (TMC) তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (WB LoP Subhendu Adhikari)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওই সভা থেকে শেখ শাহজাহান ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (West Bengal CM Mamata Banerjee) একযোগে আক্রমণ করেন, তাঁরা একে-অপরের পার্টনার বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ও মদতে শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ভেড়ির ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে হওয়া দুর্নীতির কালো টাকা পাচার করত বলেও মঙ্গলবার অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী


আরও পড়ুন: Lokshaba Election 2024: গেরুয়া শিবিরে ভাঙন, রানাঘাটে বিজেপি প্রার্থীর বুথ থেকে তৃণমূলে যোগ ২০০ জন কর্মী-সমর্থকের


জাতীয়তাবাদী মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে বাস্তব পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বলেন। সন্দেশখালির ত্রাস শেখ শাহজাহানকে ব্যবহার করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রোহিঙ্গাদের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় শেল্টার পাইয়ে দিয়েছেন বলেও বিস্ফোরক দাবি করেন। অভিযোগ করেন, "মাদক থেকে মানব, সব পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল শাহজাহান। যার পিছনে সম্পূর্ণ মদত ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।" জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল-সহ বাকি নেতাদের কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, "বাংলার সব বাঘ এখন তিহারে গিয়ে নেংটি ইঁদুর হয়ে গেছে। বাকিদেরও একই হাল হবে।"


আরও পড়ুন: Lok Sabha Election 2024: 'অভিমান হওয়া স্বাভাবিক, RSS-এ ফিরে যান', দিলীপকে 'সহানুভূতি' দেবাংশুর !


ইডির তরফে গতকাল ব্যাঙ্কশাল কোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ১১ বছরে এম এস সাবিনা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ১৩৭ কোটি জমা পড়েছে। মার্চ ২০২১ সালের পর থেকে চিংড়ির ব্যবসা ৩৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করত শাহজাহান। ভুয়ো নথি দাখিল করে এই ব্যবসা চালাত সে। মানব থেকে মাদক পাচার সবকিছুতেই ছিল সিদ্ধহস্ত। দেশ তথা সন্দেশখালিকে বিচার পাইয়ে দিতে শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে জোরালো সওয়াল করেন ইডির আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা'কে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক। 


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে শেখ শাহজাহানের সন্দেশখালির বাড়িতে গেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। সেই সময় শাহজাহানের অনুগামী ও সঙ্গীরা ইডির তদন্তকারীদের পাশাপাশি সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর হামলা করে। এর ফলে বেশ কয়েকজন জখমও হয়েছিলেন। আর তারপর থেকে বেপাত্তা ছিল শাহজাহান। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।