কলকাতা: ছোট থেকেই হস্টেলে থেকে পড়াশোনা। মিশন স্কুলের শিক্ষকদের সাহচর্য, নিয়মানুবর্তিতা এবং অধ্যবসায়। ক্লাস ফাইভ থেকে এভাবেই স্কুল জীবন কেটেছে অদ্রিজের। কঠোর পরিশ্রমের ফলও মিলেছে। ২০২৩ সালের মাধ্যমিকে রাজ্যের মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র অদ্রিজ গুপ্ত। সারা রাজ্যের মধ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে অদ্রিজ, প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬।


ছোট থেকেই নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে ( Narendrapur Ramakrishna Mission) পড়াশোনা করলেও আদতে মালদার (Malda) বাসিন্দা অদ্রিজ। মালদার এনবি গুপ্ত সরণী পিরোজপুরের বাসিন্দা গুপ্ত পরিবার। গুপ্ত দম্পতির একমাত্র সন্তান অর্ণব ছোট থেকেই মেধাবী বলে জানাচ্ছেন তার বাবা-মা। ক্লাস ফাইভ থেকে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র অদ্রিজ ছোট থেকেই ধারাবাহিকভাবে ভাল ফলাফল করে এসেছে। ফলে মাধ্য়মিকেও যে ভাল ফলাফল হবেই সেই আশা ছিল অদ্রিজ ও তার বাবা-মায়ের। সেই আশাপূরণ করল অদ্রিজ


স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া:
ফলপ্রকাশের পর স্বাভাবিকভাবেই খুশি অদ্রিজ। কৃতী পড়ুয়া জানাল,তাঁর পছন্দের বিষয় বিজ্ঞান। ভবিষ্যতে তার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া। সেইভাবেই প্রস্তুতি নিতে চায় অদ্রিজ। বিজ্ঞান নিয়ে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনেই উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনা করবে সে। 


কীভাবে পড়াশোনা:
মিশনের হস্টেলের নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে ছোট থেকেই পরিচিত অদ্রিজ। তাই রোজই নিয়ম করে পড়াশোনা চলত। পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ স্টাডির বিষয়ও আলাদা করে উল্লেখ করেছে অদ্রিজ। বন্ধুদের সঙ্গে পড়াশোনাতেও লাভ হয়েছে মাধ্যমিকের প্রস্তুতিতে। 


শুধু স্কুলই নয়, বাবা-মায়ের সাহায্যও মিলেছে। অদ্রিজের বাবা অর্ণব গুপ্ত মালদার কাজিগ্রাম হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক, মা-ও মালদারই একটি স্কুলের শিক্ষিকা। ফলে বাড়ি থেকেও পড়াশোনা সংক্রান্ত যাবতীয় পরামর্শ ও সাহায্য মিলেছে। ছুটিতে বাড়িতে গেলেও পড়াশোনা নিয়ে কখনও কোনও অসুবিধা হয়নি অদ্রিজের। সে নিজেও জানিয়েছে, তাকে অনবরত মানসিক শক্তি এবং উৎসাহ জুগিয়েছেন তার বাবা ও মা। মাথা ঠান্ডা রেখে কীভাবে কঠিন পরিস্থিতি সামলানো যায় সেই শিক্ষাও বাবা-মায়ের থেকেই পেয়েছে বলে জানিয়েছে অদ্রিজ।


অদ্রিজের বাবা অর্ণব গুপ্ত বলেন, 'ছোট থেকেই ওর টেনশন করার স্বভাব। সেটাই যাতে না হয়, মাথা ঠান্ডা রেখে পরীক্ষা দিতে পারে, সেই চেষ্টাই করা হয়েছে। অঙ্ক ও ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল অদ্রিজ। পরীক্ষার আগেরদিন সেভাবে পড়াশোনাই করতে পারেনি। তারমধ্যেই ওকে মানসিক শক্তি জুগিয়ে যাতে ঠিকঠাক ভাবে পরীক্ষা দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি।'


বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান অদ্রিজ। কিন্তু পড়াশোনার জন্যই একমাত্র সন্তানকে বাড়ি থেকে দূরে রেখেই পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাবা-মা। স্কুলের তরফ থেকে খুবই ভাল সাহায্য মিলেছে বলে জানিয়েছেন বাবা অর্ণব গুপ্ত। পাশাপাশি তাঁরা যতটা পেরেছেন গাইড করেছেন বলে জানিয়েছেন।


মাধ্যমিকের ফল এবিপি আনন্দ-এ 
অন্যান্য বছরের মতো এবারও পরীক্ষার্থীদের পাশে এবিপি আনন্দ। ফল জানা যাবে এবিপি আনন্দের ওয়েবসাইটে।বেলা ১২ টা থকে ফল জানা যাবে এবিপি আনন্দর ওয়েবসাইট- http://bengali.abplive.com -এ। তার জন্য দিতে হবে জন্ম তারিখ ও রোল নম্বর। ক্লিক করুন  : wb10.abplive.com 


আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত, দুপুর ১২ টা থেকেই দেখা যাচ্ছে wb10.abplive.com এ