সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফল। ৬৯০ পেয়ে তৃতীয় স্থান পেয়েছে সৌম্যদীপ মল্লিক। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বাসিন্দা সৌম্যদীপ দিনে ঘণ্টা নয়েক পড়াশোনা করত। বরাবরই পড়াশোনাই ধ্যানজ্ঞান। তাই মাধ্যমিকে প্রথম থেকে দশম স্থানের মধ্যে থাকবেন, তেমন আশা ছিলই। চেয়েছিল, মাধ্যমিকে নিজের সেরাটা দিতে। সেই চেষ্টায় ত্রুটি হয়নি। তাই এমন ভাল ফলাফল পেল বেড়াচাঁপা দেউলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ।
সৌম্যদীপের কথায় মা-বাবা, শিক্ষক-শিক্ষিকারা সকলের পরামর্শই কাজ করেছে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, তবে চাপ নয়। তাঁরাও বলেছিলেন, সেরাটা উজাড় করে দাও। সেটাই করেছেন বাধ্য ছাত্র। পরবর্তীতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চায় সৌম্যদীপ।
বাবা-মা কোনওদিন কোনও প্রতিকূলতা বুঝতে দেননি, বললেন কৃতী ছেলে। বারবার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথা বলল সৌম্যদীপ। বেড়াচাঁপার মতো প্রত্যন্ত এলাকা থেকে সেরার তালিকায় উঠে আসা। তাই বড় হয়ে কারিগরি দিক থেকে গ্রামের উন্নয়নের কথা ভাববে, এমনটাই স্বপ্ন কৃতী ছাত্রর। মা-বাবা দুজনেই ছেলের চেষ্টায় খুশি।
শুধু পড়াশোনা নয়, খেলাধুলো ও আঁকাতেও আগ্রহী সে।
প্রথম দেবদত্তা মাঝি
অন্যদিকে এবার মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে দেবদত্তা মাঝি, কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানি গার্লস হাইস্কুল, ৬৯৭ পেয়েছে ৯৯.৫৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে।
আনন্দ চোখে মুখে প্রকাশিত হলেও, সাফল্যের মুখেও শান্ত সে। মা, শিক্ষক, স্কলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ব্যক্তিগত শিক্ষক -শিক্ষিকাদের কাছে কৃতজ্ঞতাপ্রকাশ করলেন আপ্লুত প্রথমা। বললেন, প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করত সে। প্রতিটি বিষয়েরই গৃহশিক্ষিক ছিল। তবে ভৌতবিজ্ঞান পড়াতেন মা। অঙ্ক ও ভৌতবিজ্ঞান প্রিয় বিষয়। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে চায় দেবদত্তা । চায় আইআইটি-তে লেখাপড়া করতে।
সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে পারে না সে। রাতে পড়া চলত ১১ টা , সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত। পড়াশোনাই তার প্রথম প্রিয়। ক্রিকেট ভালবাসলেও দেখা হয়ে ওঠেনি আইপিএল। দেবদত্তার মা এবিপি আনন্দকে জানালেন, খুশিতে আপ্লুত তিনিও।
মাধ্যমিকের ফল এবিপি আনন্দ-এ
অন্যান্য বছরের মতো এবারও পরীক্ষার্থীদের পাশে এবিপি আনন্দ। ফল জানা যাবে এবিপি আনন্দের ওয়েবসাইটে।বেলা ১২ টা থকে ফল জানা যাবে এবিপি আনন্দর ওয়েবসাইট- http://bengali.abplive.com -এ। তার জন্য দিতে হবে জন্ম তারিখ ও রোল নম্বর। ক্লিক করুন : wb10.abplive.com
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI