কলকাতা: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভোটে ব্যালট জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে শাসক ও বিরোধী শিবিরের একে অপরের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ অব্যাহত। মূল অভিযোগ, যাঁর ব্যালট তিনি জমা না দিয়ে, একেকজন অসংখ্য ব্যালট এনে জমা দিচ্ছেন। এই নিয়ে গতকাল থেকেই উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সল্টলেকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের দফতরের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভোটে ব্যালট জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৮ অক্টোবর। ১৯ অক্টোবর ব্যালট গণনা হবে। 


একে অপরের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ অব্যাহত: পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন মানেই ধুন্ধুমার। সে লোকসভা-বিধানসভা-পঞ্চায়েত-পুরসভা ভোট হোক কিংবা স্কুল অথবা মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির নির্বাচন। আর এবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করেও রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বুধবার। একদিকে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপি, নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলল বিরোধী শিবির। সল্টলেকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের দফতরে মোতায়েন করতে হল পুলিশ।


অন্যদিকে নির্বাচনে নজরদারির রাখার জন্য বিরোধী শিবিরে বিরুদ্ধে প্রাইভেট ডিটেক্টিভ নিয়োগ করার অভিযোগ করল শাসক শিবির। ফলে প্রশ্ন উঠছে, বাংলায় কি চিকিত্‍সকদের সংগঠনের নির্বাচনের প্রক্রিয়াও সুষ্ঠুভাবে হবে না? হাইকোর্টের নির্দেশে এখন নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে। চিকিত্‍সক-ভোটাররা এসে ব্যালট বক্সে ব্যালট জমা দিয়ে যাচ্ছেন। বিরোধী শিবিরের প্রার্থীদের অভিযোগ, বুধবার বিকেলে কয়েকজন সঙ্গে ব্যাগ নিয়ে কাউন্সিলের অফিসে ঢোকেন। তাঁদের ব্যাগে প্রচুর ব্যালট দেখা যায়। সেই ব্যালট বের করে ড্রপ বক্সে ফেলতে গেলে বাধা দেওয়া হয়।


বিরোধী শিবিরের দাবি, প্রচুর সংখ্যায় ব্যালট নিয়ে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদেরই একজন দীনেশ সিংহ। যিনি শাসক শিবিরের প্রার্থী সুদীপ্ত রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিরোধী শিবিরের আরও দাবি, মার্চ মাসে IMA’র কলকাতা শাখার নির্বাচনে এই দীনেশ সিংহকে নিয়েই বিতর্ক বেঁধেছিল। সেইসময় তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন এই দীনেশ সিংহকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। অন্যদিকে এদিন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের অফিসে দেওয়া এই নোটিস ঘিরেও জল্পনা তৈরি হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থার দুই কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা কাউন্সিলের অফিসের সামনে দু’বেলা নিয়ম করে মোতায়েন রয়েছেন। ভোটারদের ছবি ও ভিডিও তুলছেন। মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভোটের নজরদারিতে প্রাইভেট গোয়েন্দা?  এই পরিস্থিতিতে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কাছেও বিষয়টি নিয়ে চিঠি দিয়েছেন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার। তবে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি তিনি। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনেও অশান্তি। ১৯ অক্টোবর রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনের ভোটগণনা হবে।


আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankar : 'আইনের শাসন নয়, শাসকের আইন চলে’, উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পরেও ধনকড়ের মুখে বাংলার আইনশৃঙ্খলা