নয়াদিল্লি : উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) হওয়ার পরেও জগদীপ ধনকড়ের (Jagddep Dhankar) মুখে বাংলার আইনশৃঙ্খলা। তিনি বলেছেন, ‘বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে ৩ বছর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করেছি। বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সেইসময় রিপোর্ট দিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, বাংলায় আইনের শাসন নয়, শাসকের আইন চলে’।


জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল (Ex Governor of West Bengal)। রাজ্যের রাজ্যপাল থাকাকালীন রাজ্যের সঙ্গে একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছিলেন জগদীপ ধনকড়। যদিও দেশের উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন তিনি।


মুখ্যমন্ত্রীকেও আক্রমণ


তৃণমূলের প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে সেখানেও তাঁদের উদ্দেশে পাল্টা বার্তা দিয়েছিলেন দিয়েছিলেন। যেখানে  রাজ্যপালের বার্তা ছিল, 'সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করুক মুখ্যমন্ত্রী। আইনের শাসন মানতে হবে, শাসকের আইন নয়। আইনের শাসন নিশ্চিত করুক রাজ্য সরকার'। রাজভবনের পক্ষে ট্যুইট করে সংযোজন, 'সিন্ডিকেট-মাফিয়ারাজকে কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আক্রান্তদের আর্থিক সাহায্যের ক্ষেত্রেও তোষণ রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।' স্বাভাবিক কারণে যে বক্তব্যের পাল্টা সুর চড়ায় তৃণমূলও।


বিরোধীদের প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে বিরাট ব্যবধানে পিছনে ফেলে উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হন জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবির তাঁকে মনোনীত করেছিল । বিরোধীদের তরফে প্রার্থী করা হয় মার্গারেট আলভাকে । বড় ব্যবধানে মার্গারেটকে পরাজিত করেন ধনকড়। ৭২৫টি ভোটের মধ্যে ৫২৮টি তাঁর পক্ষে গিয়েছিল । মার্গারেটের সমর্থনে ভোট পড়েছিল মাত্র ১৮২টি। ১৫টি ভোট অবৈধ ঘোষিত হয়। ১০ অগাস্ট উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে বেঙ্কাইয়া নায়ডুর মেয়াদ শেষ হয়। যার পরে উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন ধনকড়। 


‘জগদীপ ধনকড় আদি বিজেপি নন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্যান'


উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকলেও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ( Kunal Ghosh ) বলেছিলেন, ‘জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)  আদি বিজেপি নন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( Mamata Banerjee ) ফ্যান।’ যা নিয়ে সিপিএম সরাসরি অভিযোগ করে, তৃণমূল-বিজেপি আঁতাঁত করেই জগদীপ ধনকড়কে উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হয়। গত ১৩ জুলাই পাহাড়ে যান জগদীপ ধনকড়। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে রাজ্য সরকারকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে আক্রমণ করেন। তারপর সমতল থেকে পাহাড়ে উঠে রাজভবনে পৌঁছন। পাহাড়ে আগে থেকেই ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দার্জিলিংয়ের রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীকে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান জগদীপ ধনকড়। 


আরও পড়ুন- ভুয়ো কল সেন্টারের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ, রাতভর অভিযান চালিয়ে ৩২ জনকে গ্রেফতার