দার্জিলিং: প্রথম বার মাঠে নেমেই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। দার্জিলিংয়ে হামরো পার্টির রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হল এ ভাবেই। সেখানে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস অন্য দলকে হারিয়ে বিজয়ী হিসেবে উঠে এল হামরো পার্টি। অর্থাৎ দার্জিলিং পুরসভার দখল তাদের হাতেই উঠল। 


বুধবার পুরসভা নির্বাচনের গণনা চলছে। তাতে দার্জিলিং পুরসভা কেন্দ্রের ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টিতেই জয়ী হয়েছে হামরো পার্টি। একটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের সঙ্গে টাই হয়েছে তাদের। অন্য দিকে, অনীক থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা সেখানে ৮টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে। ৪টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। 


তবে হামরো পার্টির প্রতিষ্ঠাতা রেস্তরাঁ ব্যবসায়ী অজয় এডওয়ার্ডস নিজে পরাজিত হয়েছেন। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে গিয়েছেন তিনি। 


]


আরও পড়ুন: WB Municipal Election Result: অধিকারী গড়ে ঘাসফুল, ১৮টি ওয়ার্ডে জিতে কাঁথি পুরসভা পুনর্দখল করল তৃণমূল


গ্লেনারিজ কর্তা অজয় শৈলশহরে প্রভাবশালী বিযক্তি হিসেবেই পরিচিত। এক সময় গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের দার্জিলিং শাখার সভাপতিও ছিলেন। মত পার্থক্যের জেরে বেরিয়ে আসেন।


এর পর গত বছরের শেষ দিকে হামরো পার্টির প্রবর্তন করেন অজয়। সেই সময় তিনি জানান, পাহাড়বাসীকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্য়বহার করে সব দলই। কিন্তু প্রকৃত অর্থে কেউই পাহাড়ের বাসিন্দাদের শুভাকাঙ্খী নন। কেউ পাহাড়বাসীর সমস্যা নিয়ে ভাবিত নন। তাই তাঁকে নামতে হয়েছে ময়দানে।


তবে প্রথম বার ভোটের ময়দানে নেমেই যে হামরো পার্টি পুরসভার দখল নেবে, তা কল্পনা করতে পারেননি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এতে পাহাড়ে নতুন সমীকরণ তৈরি হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।


রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম যদিও সকলকে নিয়েই চলার বার্তা দিয়েছেন। তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থী তো বটেই, বিরোধী শিবিরের বিজয়ী প্রার্থীদেরও শুভেচ্ছা জানান তিনি। জানান, বিবধের মাঝে মিলন মহান সংস্কৃতিতেই বিশ্বাসী বাংলা। তাঁরাও সকলকে নিয়ে চলার পক্ষপাতী।