সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, সমীরণ পাল ও হংসরাজ সিংহ, হুগলি,উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া: পুরভোটের (Municipal Election) মুখে রাজ্যের একাধিক জেলায় ফ্লেক্স-ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা (Tension)। কোথাও ছেঁড়া হল বিজেপির পতাকা-ফ্লেক্স, কোথাও আবার নষ্ট করা হল শাসক দলের ব্যানার। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা (Political War of Words)।
আগামী সপ্তাহেই ১০৮ পুরসভার ভোট। নির্বাচন যত এগোচ্ছে ততই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর।
শনিবার হুগলির বৈদ্যবাটি পুর এলাকার শেওড়াফুলিতে বিজেপির ফ্লেক্স-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় নর্দমায়। এদিন প্রচারে বেরিয়ে ছেঁড়া ফ্লেক্স-ব্যানার দেখতে পেয়ে কর্মীদের নিয়ে অবস্থানে বসেন ৯ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী।
আর এক সপ্তাহ পরে ভোট। এই সময় প্রচার ছেড়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিজেপি প্রার্থী।বৈদ্যবাটি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সোমা নন্দী দলীয় কর্মীদের নিয়ে শেওড়াফুলি নোনাডাঙায় অবস্থানে বসেন। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ তাঁর প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে।ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ বৈদ্যবাটি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীদের ফ্লেক্স খুলে নেওয়া এবং ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে নর্দমায়।তারই প্রতিবাদে প্রচার ছেড়ে অবস্থানে বসেন বিজেপি প্রার্থী।অভিযোগ শাসক দলের মদদপুষ্টরা রাতের অন্ধকারে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে দিচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানিয়েছেন প্রার্থী।বৈদ্যবাটি তৃনমূলের দাবি, বিজেপির নিজেদের দ্বন্দ্বের ফলে এইসব হচ্ছে। তৃণমূল কাউকে প্রচারে বাধা দেয়নি।
একই ছবি ধরা পড়েছে কামারহাটি পুরসভার ২৫ নং ওয়ার্ডে। এখানে ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় তৃণমূল প্রার্থীর ব্যানার।
অন্যদিকে উল্টো ছবি ধরা পড়েছে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের মালিগলি এলাকায়। এদিন প্রচারে বেরিয়ে দলীয় পতাকা নর্দমায় পড়ে থাকতে দেখেন ৩ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী। নিজেই সেই পতাকা নর্দমা থেকে তুলে জলে ধুয়ে ফের টাঙিয়ে দেন শাসক প্রার্থী। রঘুনাথপুর পুরসভা ৩ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী আনন্দ বাউড়ি বলেছেন, বিরোধীরা করেছে। এখানে হারবে বলে এসব করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী বংশীধর রজক বলেছেন, নাটক করছে তৃণমূল। এখানে জিতবে না বলেই নাটক করছে।
সব মিলিয়ে পুরভোট যত এগিয়ে আসছে, ফ্লেক্স-ব্যানার ছেঁড়ার ঘটনায় বাড়ছে অশান্তি।