সুজিত মণ্ডল, নদিয়া:  দলের নির্দেশ না মানায় নদিয়ার (Nadia) ৬টি পুরসভার (Municipal Election) ২১ জন নির্দল প্রার্থীকে (Independent Candidate) বহিষ্কার করল তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। বহিষ্কৃতদের তালিকায় রয়েছেন এক নির্দল প্রার্থীর স্বামীও। আর এনিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় গতকালই বলেছিলেন, যাঁরা নির্দল হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচিত মুখ, তাঁদের তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। বহিষ্কার করা হবে।


শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া বার্তার পরই বিক্ষুব্ধ নেতা ও নির্দল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে তৃণমূল।নদিয়া জেলার ৬টি পুরসভার ২১ জন নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে দল থেকে।


এবারের পুরভোটে টিকিট না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় নেমে চলে বিক্ষোভ।দল প্রার্থী না করলেও, কেউ কেউ নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন।পুরভোটের মুখে তৃণমূলকে এভাবেই অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন বহু বিক্ষুব্ধ নেতা ও নির্দল প্রার্থী।এরপরই বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।নির্দলদের ভোটের লড়াই থেকে বিরত থাকার জন্য বেঁধে দেওয়া হয় ৪৮ ঘণ্টার টাইমলাইন। এরপর বৃহস্পতিবারই কৃষ্ণনগর পুরসভার ১১ জন, বীরনগরের ৫ জন, রানাঘাট ও শান্তিপুরে ২ জন করে এবং কল্যাণী ও তাহেরপুরে ১ জন করে বিদ্রোহীকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল।তৃণমূল কংগ্রেসের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী রত্না ঘোষ কর বলেন, দলবিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে, রানাঘাটে দু’জনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি।


বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন রানাঘাট পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর শঙ্কর অধিকারী এবং তাঁর স্ত্রীও। শঙ্কর অধিকারী বলেছেন, আমাকে যে বহিষ্কার করা হয়েছে তা জানানো হয়নি, আমি রাজ্যের সব পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছি, মানুষ চেয়েছে তাই স্ত্রী নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছে।


নির্দলদের বহিষ্কার তৃণমূলের। আর এই ঘটনা ঘিরে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।বিজেপির  নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, এটা ওদের কোন্দল, দলে কোনও সংগঠন নেই, যখন যাকে দরকার তখন তাকে ব্যবহার করে, মানুষকে নিয়েই আমরা জিতব।


নদিয়া জেলায় এবার ১০টি পুরসভায় ভোট হবে। তার আগে ৬টিতেই নির্দল হিসেবে দাঁড়ানো বিক্ষুব্ধদের দল থেকে সরাল ঘাসফুল শিবির।