কলকাতা: বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ চিরকালই কংগ্রেস-দুর্গ হিসেবে খ্যাত ছিল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) খাসতালুকে এবার অবশ্য সবুজ ঝড়। তিনদশক পর বহরমপুর পুরসভা হাতছাড়া কংগ্রেসের (Congress)। ২৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল (Trinamool) ১৮, কংগ্রেস ৬টিতে জয়ী হয়েছে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন বহরমপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়। ২০১৫-র পুরভোটে কংগ্রেস ২৬ ও তৃণমূল ২টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়। দলবদলের কারণে পরে বোর্ড গড়ে তৃণমূল। যদিও একুশের বিধানসভা ভোটের পুরসভাভিত্তিক ফলের নিরিখে বিজেপি এগিয়ে ছিল ২৭টি ওয়ার্ডে, তৃণমূল ১টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল। এবার পুরভোটে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বিজেপি।                 


এদিন ফলাফল প্রকাশ পেতেই ভোট লুটের অভিযোগ এনেছেন অধীর চৌধুরী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে অধীর বলেন, " কেউ জিততেন, কেউ হারতেন, এটাই হত। আপনি তো জিততেনই। আমরা আগেই বলেছি আপনিই জিতবেন। আমরা এর আগে বলেছিলাম নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করতে দিন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সেই স্বীকৃতি দিলেন না। তৃণমূলের নেত্রী হলেও সন্ত্রাস, লুট, রাহাজানি, দুর্নীতি, পুরনো অভ্যাস ছাড়তে পারছেন না।"


আরও পড়ুন, জয়ী হয়েও আমরা যেন বিনয়ী থাকতে পারি, ট্যুইট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের


যদিও অধীরের এই দাবিতে ফুৎকারে উড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বহরমপুরে কংগ্রেসের পতনের নেপথ্যে অধীর চৌধুরীকেই দায়ী করেছেন তিনি। কুণাল বলেন, "সর্বকালের ব্যর্থতম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আর্তনাদ। তিনি সিপিআইএম, যারা এতদিন সন্ত্রাস করেছে, তাঁদের সঙ্গে হাত ধরে ধরে বৈঠক করেছেন। বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য পেয়েছেন। উনি সফল সাংসদ, বর্ষীয়ান নেতা হতে পারেন। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়ে শূন্য পেয়েছেন কেন উনি? কোথাও কংগ্রেস জায়গা পাচ্ছে না। লোক নেই, জন নেই। প্রচারের সময় যেতে পারেন না। এরপরও কি ফল আপনাদের পক্ষে হতে পারে?"