কলকাতা: এত নম্বর পেয়েছেন। তাহলে কি উচ্চ মাধ্যমিকে নম্বরের দিকে নজর রেখেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের অভীক দাস? এই কথা একেবারে নাকচ করেছেন এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্য়ে প্রথম হওয়া কৃতী। তাঁর লক্ষ্য ছিল ভাল পড়াশোনা করা। কারণ তাঁর লক্ষ্য বহু দূরে- বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য ভেদ করার স্বপ্ন দেখেন ছোটবেলা থেকেই। তাই অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চান তিনি।

  


পরীক্ষা দেওয়ার পর কী বুঝতে পেরেছিলেন এত ভাল ফল হবে? কিংবা মনে হয়েছিল ব়্যাঙ্ক করা নিয়ে? অভীক বলছেন, 'উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পরেই বুঝতে পেরেছি আমার পরীক্ষা ভাল হয়েছে। আশা করেছিলাম ৪৯৫-৪৯৬ পাব, সেটাই পেয়েছি। আশাপূরণ হওয়ায় ভাল লাগছে।'


ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, অঙ্ক, বায়োসায়েন্স- এর সঙ্গে বাংলা ও ইংরেজি ছিল অভীকের। অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করে বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন তাঁর। এই সাফল্যের কৃতিত্ব কার? অভীক দাস তাঁর সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছেন বাবা-মা এবং শিক্ষকদের। বলেছেন, 'বাবা-মাকে ছাড়া এই সাফল্য সম্ভব হতো না। সবসময় সাপোর্ট, ভালবাসা পেয়েছি।' এছাড়া গৃহশিক্ষকদের কথা বলেছেন অভীক। জানিয়েছেন, 'ওঁরা সবসময় সাহায্য করতেন। যে কোনও সময় কোনও সমস্যা হলেই দেখিয়ে দিতেন। এছাড়া স্কুল শিক্ষকরাও সাহায্য করেছেন।'


নিয়মিত পড়াশোনা করেই মিলেছে সাফল্য:
পরীক্ষার আগে অনেকে রাত জেগে পড়াশোনা করেন। অনেকে ভোরে উঠে পড়তে বসেন। এর কোনওটাই করেননি অভীক। তাঁর মতে, সারা বছর নিয়ম মেনে পড়াশোনা করলে পরীক্ষার আগে আলাদা করে চাপ নিয়ে পড়তে হয় না। অভীকের পরামর্শ, 'সারা বছর পড়াশোনা করলে পরীক্ষার আগে রাত জাগা বা ভোরে উঠে পড়ার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ সেটা করলে পরীক্ষার সময় ক্লান্তি চলে আসে।'


লোকসভা ভোটের মধ্যেই পরীক্ষার ৬৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। এ বছর মেধা তালিকায় প্রথম দশে রয়েছেন ১৫টি জেলার ৫৮ জন। প্রথম পাঁচে ১২ জন রয়েছেন। হুগলি থেকে সবথেকে বেশি ১৩ জন রয়েছেন মেধা তালিকায়। এরপর বাঁকুড়া থেকে ৯, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ৭ এবং কলকাতা থেকে মেধা তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ৫ জন। 


উচ্চ মাধ্যমিকে এ বছর পাসের হার ৯০ শতাংশ। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৭.১৯ শতাংশ। বাণিজ্যে পাসের হার ৯৬.০৮ শতাংশ এবং কলা বিভাগে ৮৮.২ শতাংশ। এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় দাপট দেখিয়েছে মিশন পরিচালিত স্কুলগুলি। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে দ্বিতীয়, ষষ্ঠ, নবম ও দশম স্থানে রয়েছেন ৬ জন। মিশন পরিচালিত অন্য স্কুলগুলিও ভাল ফল করেছে। এ বছর ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য তৎকাল পরিষেবা চালু করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। 


রোল নম্বর দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল দেখতে ক্লিক করুন


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম আলিপুরদুয়ারের অভীক, প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬