হিন্দোল দে, ডায়মন্ড হারবার: ‘২০১৬ সাল পর্যন্ত এখানে ভোট (election) হত। ২০১৬-র পর ভাইপো এখানে ভোট হতে দেয়নি। এবার খেলা দেখাব, মনোনয়ন (nomination) জমার দায়িত্ব আমাদের’, ডায়মন্ড হারবারের (diamond harbour) সভা (meeting) থেকে কড়া হুঙ্কার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari)। বললেন, '‘ডিসেম্বর মাসেই বিজয় সমাবেশ করতে এই জেলায় আসব।’
আর কী বললেন?
এদিন শুভেন্দুর সভার আগে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। হটুগঞ্জে দফায় দফায় মাথা চাড়া দেয় উত্তেজনা। শুভেন্দু সভার শুরুতেই বলেন, 'আদালতের নির্দেশে সভামঞ্চ তৈরি শুরু করলাম। সারা দিন কিছু করেনি, রাতে সব খুলে দিয়ে চলে গেল। সুস্থ হয়ে সকলকে বাড়ি ফিরতে হবে, আগামী দিনে বড় লড়াই।’ তাঁর আরও অভিযোগ, সভায় বিজেপি কর্মীদের আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এর পরই তাঁর বক্তব্য, 'রাজ্যে কোনও গণতন্ত্র নেই, কোথাও ভোট করতে দেওয়া হয় না।’ পুলিশের উদ্দেশে হুঙ্কারও দেন তিনি। বলেন, ‘পুলিশ কান খুলে শুনে রাখুন, বিজেপির অধীনে কাজ করতে হবে। যা ধরি, শেষ করে ছাড়ি।’
অশান্তি হটুগঞ্জ...
এদিন বিরোধী দলনেতার সভার আগে হটুগঞ্জ বাজারের কাছে তৃণমূলের তরফে অবরোধ করা হয়েছিল। সঙ্গে চলে স্লোগান। তৃণমূলের তরফে বার বার বলা হয়, তারা কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরোধী। যদিও বিজেপির অভিযোগ, শুভেন্দুর সভায় যাতে কোনও কর্মী-সমর্থক না আসতে পারে সেই কারণেই পরিকল্পনামাফিক এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি। ইট-পাটকেল ছোড়া হয়েছে। একাধিক দোকানে আগুন লাগানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশবাহিনী নামানো হলেও কিছু ক্ষণ আগে পর্যন্ত যা জানা গিয়েছিল তাতে ছবির মোটেও কোনও পরিবর্তন হয়নি। তৃণমূলের দাবি, স্থানীয়দের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পাল্টা বিজেপির দাবি, তাদের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। গালিগালাজের অভিযোগও উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। বলেন, 'তৃণমূল যেন মনে রাখে, আরেকটি সভা পূর্ব মেদিনীপুরে হচ্ছে। আমিও চাইলে ২০ জায়গায় কাঠের গুড়ি ফেলে দিতে পারি।' উল্লেখ্য, কাঁথিতে অভিষেকের সভার আগে ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জনের প্রাণ যায়। বিস্ফোরণস্থল থেকে দেড় কিমি দূরে তৃণমূলের বুথ সভাপতির দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঝলসানো দেহ মেলে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার। তৃণমূল কর্মী বিশ্বজিৎ গায়েনের ঝলসানো দেহ মেলে আধ কিমি দূরে। উল্লেখ্য শনিবার কাঁথিতে, শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের অদূরে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। যেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখান থেকে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সভাস্থলের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। অন্য দিকে, শুভেন্দুর সভায় আসার পথে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। কুলপিতে বিজেপির বাস লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ ভাঙল বিজেপি কর্মীদের বাসের কাচ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ বিজেপির। হামলার অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের।
আরও পড়ুন:'পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে সফল শিল্প বোমা' ভূপতিনগরে বিস্ফোরণ নিয়ে ঝাঁঝালো ট্যুইট শুভেন্দুর