কলকাতা: অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। কলকাতা-সহ (Kolkata) দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) ঢুকল বর্ষা। শুরু হয়েছে বৃষ্টি (Rain Forecast)। উত্তরবঙ্গে (South Bengal) বালুরঘাট (Balurghat) থেকে মালদা (Malda) জেলায় বর্ষা ঢুকেছে ইতিমধ্যেই। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই এখন বর্ষা চলছে। উত্তরবঙ্গের সব জেলায় ঢুকতে ১৪দিন সময় নিল বর্ষা। ৩ জুন উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করে মৌসুমী বায়ু।


বর্ষায় বিলম্ব: পূর্বাভাস ছিল বৃহস্পতিবারের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে। তবে কালও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকেনি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipur Weather Office) পূর্বাভাস ছিল, বর্ষা আসতে আরও ২-৩ দিন সময় লাগবে লাগবে। উত্তরবঙ্গের ভারী বৃষ্টিই এযাত্রা দক্ষিণে বর্ষার পথে কাঁটা বলে জানানো হয়েছিল।


আষাঢ়ের প্রথম দিনেই দক্ষিণবঙ্গে পা রাখতে পারে বর্ষা (Monsoon)। আশার বার্তা দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। তার মধ্যেই উত্তরবঙ্গে আগামী ৫ দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। এ দিকে, আজ সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ মেঘলা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী গতকাল থেকেই  বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। 


জলমগ্ন জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার: কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের একাধিক এলাকা। ধূপগুড়িতে গিলান্ডি নদীর বাঁধের একাংশের ফাটল দেখায় আতঙ্কিত নদীপাড়ের বাসিন্দারা। তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধির কারণে বন্ধ নদীগর্ভে আমরুত প্রকল্পের মেশিন বসানোর কাজ। জলস্তর বাড়ায় কোচবিহারের রায়ডাক ও মানসাই নদীতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 


ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টি: রাতভর ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টি। বর্ষার শুরুতেই ডুয়ার্সের একাধিক নদীতে জল বাড়তে শুরু করেছে। প্লাবনের আশঙ্কা। ধূপগুড়ি ব্লকের ডুডুয়া নদীর জল ঢুকে বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত। পাশাপাশি, জলপাইগুড়ি জেলায় তিস্তা নদীরও জলস্তর বাড়ছে।আতঙ্কিত তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ি শহর দিয়ে বয়ে যাওয়া করলা নদীর জলও বাড়ছে।একাধিক বাড়ি জলমগ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।