সঞ্চয়ন মিত্র ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা: রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক। ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী সপ্তাহে ফের নামতে পারে পারদ, পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া (Alipore Weather Office) দফতরের (Weather Forecast)।
আগামী সপ্তাহে ফের নামতে পারে পারদ
গত কয়েক দিনে তাপমাত্রার পরিবর্তনে জ্বর-সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে শিশু থেকে বয়স্কদের (Temperature Fall)। এ নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
কলকাতায় পারদের ওঠানামা চলছেই। গত সপ্তাহে শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে মঙ্গলবার ছিল ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি। বুধবার ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি। বৃহস্পতিবার ছিল ১৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার ১৮ দশমিক ১ ডিগ্রি। শনিবার ১৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি।
আরও পড়ুন: Local Train Service : শ্যামনগরে লোকালের কাপলিং খুলে বিপত্তি, আলাদা হয়ে গেল ৫টি কামরা
এর পর রবিবার পারদ ওঠে ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা স্বাভাবিক। পারদ ২০ ডিগ্রির নিচে থাকায় শীতের আমেজ বজায় আছে ঠিকই, কিন্তু তাপমাত্রার হেরফেরে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্সকরা। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
কলকাতায় পারদের ওঠানামা চলছেই, বাড়ছে জ্বর-সর্দির উপসর্গ
এই পরিস্থিতিতে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আপাতত কোনও কোনও জেলায় শীতের আমেজ সামান্য কমবে। তবে আগামী সপ্তাহে আরও একটু নীচে নামতে পারে পারদ। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কোথাও কোথাও সকালের দিকে হালকা কুয়াশা ও শিশির পড়ার সম্ভাবনা।
এর আগে, শনিবারও কলকাতায় তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের নিচে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি নিচে। গতকালই আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানায়, আগামী কয়েকদিন রাজ্যের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচেই থাকবে। আগামী সপ্তাহে আরও একটু নিচে নামতে পারে পারদ। শীতের স্পেল চলবে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে।
এর পাশাপাশি, শীতের মরশুমে ঘন কুয়াশার আশঙ্কাও রয়েছে। ৩ মাসের জন্য দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ জারি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩-এর ২ মার্চ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কয়েকটি ট্রেন আংশিক বাতিল। কোনও কোনও রুটে কমানো হয়েছে ট্রেনের সংখ্যা।