গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের জেরে পুজোর বাংলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের। গতকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি জারি রয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো বাতাস বইছে। রবিবার থেকেই জেলার আকাশের মুখ ভার। জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টি এবং হাওয়ার ব্যাপকতা অনেক বেশি রয়েছে।
পুজোর মুখে দুর্যোগের জেরে উদ্যোক্তাদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। রবিবার থেকে দফায় দফায় বৃষ্টিপাতের ফলে বন্ধ রাখতে হয়েছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। অন্যদিকে কাকদ্বীপ, সাগর, নামখানা, পাথpujOরপ্রতিমা-সহ জেলার একাধিক জায়গায় পূজা প্যান্ডেলের মাঠগুলিতে জলও জমেছে। বৃষ্টি না কমলে আরও কয়েকটা দিন পিছিয়ে যাবে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। সেক্ষেত্রে সঠিক সময়ে পূজোর সমস্ত কাজ সম্পন্ন করা নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি জারি থাকবে। সপ্তাহভর বৃষ্টিতে ভিজবে জেলা।
বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ। কাল পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস। পুজোর মুখে দুর্যোগে উদ্যোক্তাদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। পুজো প্রস্তুতিতে বৃষ্টি-বাধা। রবিবার থেকেই রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে আবারও ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। পুজোয় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এমনিতেও মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বিভিন্ন জেলা এবং শহর কলকাতায় মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি। এদিকে এমন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া হওয়ার ফলে পুজো উদ্যোক্তাদের মাথায় হাত পড়েছে। বহু বড় পুজো, থিমের পুজোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির ফলে তা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। যখন বৃষ্টি একটু কম থাকবে, তখন কীভাবে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়েই এখন চিন্তায় পুজো উদ্যোক্তারা।
এদিকে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস শুনে মন খারাপ সাধারণ মানুষের। দুর্গা পুজো, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা বাকি। পুজোর ক'দিন কবে কোথায় ঘুরবেন, কোন কোন পুঞ্জো মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে যাবেন, তার পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন অনেকে। আর এর মধ্যেই আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপের জেরে পুজোয় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে কি পুজোর আনন্দ একেবারেই মাটি হতে চলেছে? এই আশঙ্কাতেই মনখারাপ আম-বাঙালির।