কলকাতায় আজকের আবহাওয়া (Weather): পুজোর পর লক্ষ্মীপুজোও হয়ে গেল। দীপাবলি আসতে এখনও বেশ কয়েকটা দিন বাকি। পুজোর সময়ে কম-বেশি, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সাক্ষী থেকেছে কলকাতা (kolkata) । কিন্তু লক্ষ্মীপুজোর পর থেকে দীপাবলি পর্যন্ত কেমন থাকবে এ শহরের হাওয়া-বাতাসের মতিগতি?
    গত কালই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান-সহ বিভিন্ন জেলায়। কলকাতায় এত ভারী বর্ষণের ইঙ্গিত ছিল না বুধবার। কিন্তু সন্ধেয় ভাসল মহানগরও। কলকাতায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল (minimum temperature)২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা কিনা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। গত কাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা কিনা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা পরিমাণ ছিল ৬১  শতাংশ। গত কাল সকাল সাড়ে আটটা থেকে আজ সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় কোনও বৃষ্টি হয়নি। এদিকে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গ থেকে বিদায় নেবে বর্ষা। অর্থাৎ কালীপুজোর আগে বর্ষা বিদায় নিতে চলেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী,আগামিকাল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস,সর্বোচ্চ ৩৩ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশ প্রধানত পরিষ্কার থাকার কথা। কিন্তু এর পর কী রকম থাকবে শহরের মতিগতি?


বঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather): জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। যার ফলে চাষের উপরেও প্রভাব পড়েছে। তবে অগাস্টে সেই ছবি বেশ কিছুটা বদলেছে। সেপ্টেম্বরে একের পর এক নিম্নচাপ। অক্টোবরে পুজোর মধ্যেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হয়েছে শহরে। সব মিলিয়ে কি মহানগরের বৃষ্টির ঘাটতি মিটে যাবে এই মরসুমে?।


ভৌগোলিক অবস্থান (Kolkata Geographical Situation): হুগলি নদীর পূর্ব তীর ও বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী। ভারতের বড় শহরের তালিকায় অন্যতম এই মহানগর। দেশের অন্যতম বড় বন্দরও বটে। গোটা পূর্বভারতের শহরকেন্দ্রিক কার্যকলাপের অন্যতম প্রধান জায়গা কলকাতা। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর সর্বোচ্চ উচ্চতা ৯ মিটার। 


আপেক্ষিক জলবায়ু: মহানগরের জলবায়ু অনেকটা উপক্রান্তীয় অঞ্চলের মতো। মোটের উপর বছরভরই উষ্ণ থাকে এখানে। গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করে। বছরে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১ হাজার ৬২৫ মিলিমিটার যার বেশিরভাগই জুন থেকে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বর্ষার মরসুমে দেখা যায়। এই সময়টাই বাতাসে আর্দ্রতা সবচেয়ে বেশি থাকে। অক্টোবর ও নভেম্বরে বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসে।


আরও পড়ুন:গাঁধীদের সমর্থনেই কি আত্মবিশ্বাসী খড়্গে! তবুও আশা ছাড়ছেন না তারুর, কংগ্রেসের নেতৃত্বে কে! আজ ভোটগ্রহণ