কলকাতা: এপ্রিলের শেষ থেকে যে স্বস্তির বারিধারায় ভিজছে মহানগর, তা থেকে মে-র গোড়াতেও বঞ্চিত হননি শহরবাসী। ভোরের বৃষ্টি ও ভেজা হাওয়ায় ঝলসানো শহরের বুকে আরামের আমেজ লাগে এপ্রিলের শেষ দিকে। যদিও এবার এপ্রিলের গোড়া থেকেই পড়ি কি মরি করে উঠতে শুরু করেছিল পারদ। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ফলার মতো বিঁধছিল রোদ। তার উপর আবার উদ্বেগের খবর শুনিয়েছিল আবহাওয়া দফতর (IMD)। জানিয়েছিল, টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়তে পারে। চৈত্র-শেষে কলকাতায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছিল। সব নিয়ে দুর্ভোগ ছিল চরমে। কিন্তু বৃষ্টি ঝলসে যাওয়া শহরের বুকে শান্তির আমেজ ফিরিয়েছিল যা কম-বেশি জারি এখনও। কিন্তু আজ থেকে আবহাওয়া বদলের পূর্বাভাস থাকছে। কেমন থাকবে মহানগর?
আজ কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (minimum temperature) ছিল ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা কিনা স্বাভাবিক। গত কাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (maximum temperature) ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিও স্বাভাবিক। গত কাল সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার (relative humidity) পরিমাণ ছিল ৭৬ শতাংশ। গত কাল সকাল সাড়ে আটটা থেকে আজ সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় কোনও বৃষ্টি হয়নি। আপাতত যা পূর্বাভাস, তাতে আজ আংশিক মেঘলা আকাশ থাকার কথা। আগামিকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। আকাশ আগামীকালও আংশিক মেঘলা থাকবে। এদিকে তাপমাত্রার হেরফেরে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্সকরা। কাশি হলে কমতে সময় লেগে যাচ্ছে অনেক দিন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
ভৌগোলিক অবস্থান (Kolkata Geographical Situation): হুগলি নদীর পূর্ব তীর ও বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী। ভারতের বড় শহরের তালিকায় অন্যতম এই মহানগর। দেশের অন্যতম বড় বন্দরও বটে। গোটা পূর্বভারতের শহরকেন্দ্রিক কার্যকলাপের অন্যতম প্রধান জায়গা কলকাতা। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর সর্বোচ্চ উচ্চতা ৯ মিটার।
আরও পড়ুন:স্বাদ আনে, স্বাস্থ্যের জন্য় উপকারী, তিল বীজ ব্যবহারে কী লাভ?