Hooghly Weather Update: আজ ৫ জুন, ২০২৩- সোমবার, হুগলি জেলার আবহাওয়া সারাদিন (Hooghly Weather Today) কেমন থাকবে দেখে নিন একনজরে। দক্ষিণবঙ্গের এই জেলায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (Weather Forecast) থাকবে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Update) থাকবে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার (Hooghly Weather Forecast) পরিমাণ প্রায় ৮৮ শতাংশ। অত্যধিক আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে আজ হাঁসফাঁস গরমে অসহনীয় অবস্থা তৈরি হবে। সকাল থেকেই আজ রোদ ঝলমলে আবহাওয়া থাকবে। মাঝে মাঝে দেখা যাবে মেঘলা আকাশ। আবহাওয়ায় থাকবে ধোঁয়াশা। দিনের বেলায় যাঁরা বাড়ির বাইরে বেরোবেন তাঁরা অবশ্যই সঙ্গে রাখুন ছাতা, সানগ্লাস, টুপি, জলের বোতল। প্রয়োজনে নরম সুতির ওড়না বা স্কার্ফ দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন। কারণ তীব্র রোদ থাকবে। রোদের তেজে ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। আজ দিনের আবহাওয়ায় হিট স্ট্রোকেরও সম্ভাবনা রয়েছে। রাতের দিকে আবহাওয়া পরিষ্কার থাকবে। তবে অত্যধিক আর্দ্রতার কারণে হাঁসফাঁস অবস্থা বজায় থাকবে আজ সন্ধেবেলায়। আজ হুগলি জেলায় দিনের বেলায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩৭ কিলোমিটারের কাছাকাছি। আর রাতের বেলাতেও বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটারের কাছাকাছি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার থেকে যে তাপমাত্রা বাড়বে সেই কথা আগেই জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। জুন মাসের শুরুতেই তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করেছে হাওয়া অফিস। 


সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত: আজ সূর্যোদয় (Sunrise) হয়েছে সকাল ৪টে ৫১ মিনিটে। আর সূর্যাস্ত (Sunset) হবে বিকেল ৬টা ১৯ মিনিটে।


হুগলি জেলার ভৌগলিক অবস্থান (Hooghly Geographical Situation): কলকাতার উত্তর দিক থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে এবং বিখ্যাত নদী হুগলির পশ্চিম তীরে অবস্থিত হুগলি জেলা। এই নদীর নাম অনুসারেই জেলার নামকরণ হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০০ মিটার উপরে অবস্থিত এই জেলার পূর্বে রয়েছে হুগলি নদী অবস্থিত। হুগলির দক্ষিণে রয়েছে হাওড়া জেলা এবং উত্তরে বর্ধমান। এছাড়াও এর উত্তর-পশ্চিমে বাঁকুড়া জেলা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে মেদিনীপুর জেলার অবস্থান। হুগলি জেলার চারটি উপবিভাগ রয়েছে। সেগুলি হল যথাক্রমে- চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, চন্দননগর এবং আরামবাগ। এই জেলার সদর দফতর অবস্থিত চুঁচুড়ায়। 


প্রবল গরমের মধ্যেই জোড়া ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) ভ্রুকুটি। আবহাওয়া মডেল অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগর ও আরবসাগরে জুন মাসের ৮-১০ তারিখের মধ্যে দুটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের অভিমুখ হতে পারে মায়ানমার ও বাংলাদেশ উপকূল। পাশাপাশি, আরব সাগরে তৈরি হয়ে মহারাষ্ট্র ও গুজরাত উপকূলের দিকে এগোতে পারে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়। তেজ নামে এই ঘূর্ণিঝড় ভারত নাকি পাকিস্তান উপকূলে আছড়ে পড়বে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ভারতীয় মৌসম ভবন এখনও ঘূর্ণিঝড়ের কোনও পূর্বাভাস দেয়নি। 


আরও পড়ুন- গরম পড়লেই ভরসা আখের রসে? কতটা কাজে লাগে? আদৌও উপকার রয়েছে?