কলকাতা: অবশেষে প্রকাশিত হল ২০২৩ সালের প্রাথমিক টেটের ফল। ২০২৩ সালের প্রাথমিক টেট পাশের হার মাত্র ২.৪ শতাংশ। পাশ করলেন মাত্র ৬ হাজার ৭৫৪ জন। পরীক্ষায় বসেছিলেন মোট ২ লক্ষ ৮০ হাজার। তাঁদের মধ্যে ৭ হাজার জনও উত্তীর্ণ হতে পারলেন না। ১ বছর ৯ মাস পর টেটের ফল প্রকাশিত হল আজ। ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা এখনও নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। (2023 Primary TET Result)
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রাথমিক টেট হয়েছিল। ফল প্রকাশে এত দেরি কেন, লাগাতার প্রশ্ন উঠছিল। শেষ পর্যন্ত, দুর্গাপুজোর মুখে, বুধবার ফলাফল প্রকাশিত হল। কিন্তু এদিন ফল প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা গেল, মাত্র ২.৪ শতাংশ পরীক্ষায় পাশ করেছেন। ২.৫ শতাংশ ছেলেমেয়েও পাশ করেননি। এমন পাশের হার কার্যতই নজিরবিহীন। (Primary TET 2023 Result)
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ১৪৭ জন ২০২৩ সালে পরীক্ষায় বসেছিলেন। বিকেল ৫টার পর এদিন পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। ওয়েবসাইটে ফল দেখা যাচ্ছে সন্ধে ৬টা থেকে। আগামী কাল দুপুর ২টো থেকে OMR শিটের ডিজিটাল কপি অর্থাৎ ডিজিটাল ইমেজ ডাউনলোড করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।
তৃণমূল জমানায় মোট পাঁচটি টেট হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালেই হয়েছিল। ২০২২ সালের টেটের ফলাফল বেরোলেও, এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। কবে নিয়োগ শুরু হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেই আবহেই এদিন ২০২৩ সালের টেটের ফল বেরোল। কিন্তু নিদারুণ এই ফল নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কর্মরত সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে টেট পাশ করতেই হবে।
পাশের হার এত কম হওয়া নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, যাঁরা যা পরীক্ষা দিয়েছেন, তার ফলের নিরিখেই এমন হার। ১৫০ নম্বরের পরীক্ষায় পাশ করতে ৯০ পেতে হয় সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের। বহু চাকরিপ্রার্থেই ৯০-এর নীচে নম্বর পেয়েছেন, প্রায় ৯৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী। স্বাভাবিক ভাবেই পাশের হার এত কম। রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার। এর মধ্যে এখনও টেট পাশ করেননি প্রায় ৫০ হাজার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে টেট পাশ করতে হবে তাঁদেরও। কিন্তু নতুনদের যদি এমন হাল হয়, এতদিন যাঁরা শিক্ষকতা করছেন, তাঁদের ফলাফল কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।