দীপক ঘোষ, কলকাতা: বিজেপির চিন্তন বৈঠকে জমাটি খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন। মেনুতে ছিল কাতলা কালিয়া, চিলি চিকেন। খেয়ে আর খাইয়ে খুশি উদ্যোক্তা থেকে বৈঠকে আসা বিজেপি নেতারা, সকলেই।


পুরভোটে খারাপ ফলের পর, সংগঠনকে চাঙ্গা করতে বঙ্গ বিজেপির চিন্তন বৈঠক। শনিবারের এই গুরুগম্ভীর বৈঠকেই নজর কাড়ল কাতলা কালিয়া, চিলি চিকেন। ডেকচি ভর্তি ফ্রায়েড রাইস। সঙ্গে চিলি চিকেন। ট্রে ভর্তি কাতলা কালিয়া। শনিবারের বৈঠকে নেতাদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন ছিল জমাটি ।  ভাত, আলুভাজা, মসুরের ডাল, এঁচড়ের তরকারি, পনির, চাটনি-পাঁপড়ের সঙ্গে ছিল কাতলা মাছের কালিয়া। আর দলের স্বেচ্ছাসেবক-সহ অন্যান্যদের জন্য মেনুতে রাখা হয় ফ্রায়েড রাইস ও চিলি চিকেন।                                  


 
খেয়ে আর খাইয়ে খুশি উদ্যোক্তা থেকে বৈঠকে আসা বিজেপি নেতারা, সকলেই। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "শনিবার তাই ভেজ-ননভেজ দুরকমই আছে। মাছ রাখা হয়েছে। মাংস নেই। বিজেপি বেঙ্গল। বাংলার মানুষ যেটা বেশি পছন্দ করে। মাছে ভাতে বাঙালি।" এক বিজেপি নেতার গাড়ির চালক বলেন, "ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন আছে। ড্রাইভার আমি। আগেও অনেকবার মিটিং-এ এসেছি। অনেকবার ননভেজ পেয়েছি।"                  


এর আগে বিজেপির বেশিরভাগ বৈঠকে নিরামিশ খাবারের উপরেই জোর দিতে দেখা গেছে। সেখানে শনিবারের মেনুতে এত আমিষ কেন? বিজেপির রাজ্য সভাপতির যুক্তি, বাজেট কমাতেই নিরামিষের আয়োজন করা হয়। নাহলে মাছে-ভাতে বিজেপির কোনও অনীহা নেই।                                               


রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "যতবার কলকাতায় এসেছি ২ বার মাছ ভাত খেয়ে গেছি। বাজেট কমাতে নিরামিষ। এর আগেও হয়েছে।" সবমিলিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক যতই উত্তপ্ত হোক না কেন, জমজমাট মধ্যাহ্নভোজ সারলেন বিজেপি নেতারা।