কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস নিয়ে কাল, মঙ্গলবার নবান্নে সর্বদল বৈঠকের ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নবান্নে (Nabanna) কাল সেই সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছে না বিজেপি-বাম-কংগ্রেস। বিরোধী সব দলই জানিয়ে দিয়েছে, তারা নবান্নের বৈঠকে যোগ দেবে না।


কী আলোচনা হবে নবান্নের বৈঠকে? সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ দিবস কবে পালন করা উচিত? নাম কী হবে? পশ্চিমবঙ্গ দিবস না বাংলা দিবস? রাজ্যের নিজস্ব সঙ্গীত কি থাকা উচিত? - এরকম একাধিক প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা নবান্নে সর্বদলীয় বৈঠকে। পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে সব শিবিরের মতামত জানতে কাল সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও সেই আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি-বাম-কংগ্রেস। তবে কাল নবান্নে সর্বদলীয় বৈঠকে থাকার কথা এসইউসি-সিপিএম (লিবারেশন)-এর। 


১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar)। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুয়ারে সরকার চলবে। পরিয়াযী শ্রমিকরা নথি দেবে। যাতে হিসেব থাকে। আমরা পরিবারকে দেখব। 


পরিযায়ী শ্রমিকরা তাঁদের নাম ঠিকানা নিবন্ধীকরণ করবেন। যাতে তাঁরা যেখানেই থাকুক আমাদের কাছে যেন তাঁদের ঠিকানাটা থাকে। কোনওরকম বিপদে পড়লে আমরা পরিবারকে দেখব, সাহায্য করব।


দীর্ঘদিন ধরেই এমন পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে বারবার রাজনৈতিক তরজা হয়েছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে, শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূলও। কোভিডের সময় থেকেই বারবার রাজনৈতিক ইস্যু হয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। মমতা বারবার বলেছেন, কোভিড সময়ে রাজ্য সরকারই ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়েছিল। পাশাপাশি, ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে বাংলার কোনও শ্রমিকের মৃত্যু হলেও দেখা গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন এ রাজ্যের বহু বাসিন্দা যাঁরা ভিনরাজ্যে কাজের খোঁজে যাচ্ছিলেন। সেই সময়েও পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যু নিয়ে তরজা শুরু হয়। বিরোধীদের দাবি ছিল, রাজ্যে কাজের অভাবের কারণেই বাইরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বিপুল অংশের বাসিন্দা। উল্টোদিকে  সেই দাবি নাকচ করে বিরোধীদের নিশানা করেছিল তৃণমূল।


সম্প্রতি মিজোরামে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এ রাজ্যের একাধিক শ্রমিকের। সেই ঘটনার পরেও দেহ ফেরানো নিয়ে রাজনৈতিক তরজা দেখেছে বাংলা। এদিনও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের অনেকটা অংশে থাকল পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা।  এ রাজ্য থেকে যাঁরা যাঁরা বাইরের রাজ্যে যাচ্ছেন, তাঁদের প্রকৃত হিসাব যাতে রাজ্যের কাছে থাকে, তার জন্যই দুয়ারে সরকারের শিবিরে নথি নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের যেতে বললেন মমতা। নাম তালিকায় থাকলে, কারা বাইরে যাচ্ছেন তার হিসাব থাকবে। পাশাপাশি, কখনও কোনও বিপদ হলে রাজ্য সরকারের তরফে তাঁর খোঁজ পাওয়া এবং পরিবারকে সাহায্য করাও সুবিধার হবে বলে জানান তিনি। 


আরও পড়ুন: ABP Exclusive: শাহিনদের বিরুদ্ধে ভারতের অগ্নিপরীক্ষা, কোহলি-বাবরের মধ্যে সেরা কে? বেছে নিলেন পাক তারকার কোচ


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial