কলকাতা: পোস্টার-পাল্টা পোস্টারে রাজ্য বিজেপির (Bengal BJP) অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়ে পড়ল।  এবার অমিতাভ চক্রবর্তী ও দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সমর্থনে পড়ল পোস্টার (Poster)। শহরের একাধিক জায়গায় পোস্টার পড়েছে। 


বিজেএমসি-র নামে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। পোস্টারে অমিতাভ চক্রবর্তীদের পাশে থাকার বার্তা লেখা হয়েছে। এর আগে অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল শহরে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর (Amitabh Chakraborty) বিরুদ্ধে ব্যানার দেওয়া হয়েছিল। শ্যামবাজার, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর পাশাপাশি ব্যানার দেওয়া হয়েছিল মুরলীধর সেন লেনেও। এই ঘটনায় বিজেপির (BJP) বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। এবার শ্যামবাজার, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এবং দলের রাজ্য সদর দফতর মুরলীধর সেন লেনের সামনেও অমিতাভদের সমর্থনে পোস্টার পড়েছে।


কয়েকদিন আগে  এক্সাইড মোড়ের কাছে পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের বৈঠকের পরের দিনই শহরে রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ায় ফের শুরু হয়েছিল বিতর্ক। 


উল্লেখ্য,  বিভিন্ন সময়ে দলবিরোধী কাজের জন্য রবিবার বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার ও বিজেপি নেতা রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ করল দল। আর ওইদিন বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে ফের পিকনিক করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।ডিসেম্বরে রাজ্যজুড়ে সাংগঠনিক রদবদলের পর থেকেই কার্যত গৃহদাহ শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে। কখনও কলকাতায় পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে...তো কখনও মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের বৈঠক।আবার কখনও বনগাঁয় বনভোজন...।গত কয়েকদিনে একের পর এক এই ঘটনা নিয়েই অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকি পোস্টার পড়ে দলের রাজ্য সাংগঠনিক সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর নামেও।সূত্রের খবর, এরপরই পাল্টা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট পাঠান সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী।আর তারপরই জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ করল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তবে, এরপরই শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা। সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। ঠিক হয়েছে শোকজ নোটিসের জবাব দেবেন তাঁরা। কিন্তু, সাংগঠনিক যে বিষয় নিয়ে ক্ষোভ সেই দাবি থেকে তাঁরা পিছু হটবেন না।