কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: বিতর্কের মুখে প্রশ্নপত্র থেকে 'আজাদ কাশ্মীর' বাদ দিল পর্ষদ। টেস্ট পেপারে 'আজাদ কাশ্মীরের' বদলে শুধু কাশ্মীর। এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board Of Secondary Education) টেস্ট পেপারে (Madhyamik Test Paper) 'আজাদ কাশ্মীর' (Azad Kashmir Controversy) শব্দবন্ধের হদিস মেলায় তুমুল আলোড়ন পড়ে রাজ্যে! ভারতের ম্যাপ পয়েন্টিংয়ে (india map pointing) 'আজাদ কাশ্মীর' চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল! পাকিস্তানের ভাষা কেন মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারে, তীব্র সমালোচনা শুরু হয় নানা মহলে। খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে, তখনই জানিয়েছিলেন মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি।অবশেষে ভুল মেনে 'আজাদ কাশ্মীর' বাদ দিল পর্ষদ। 


নতুন কী?
কিছুক্ষণ আগেই পর্ষদের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সংশোধনীর কথা উল্লেখ করা হয়। তাতে বলা হয়, টেস্ট পেপারে ওই শব্দবন্ধ বাদ যাবে, সেখানে ম্যাপ পয়েন্টিংয়ে শুধু কাশ্মীর শব্দটি চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। কিন্তু যেটা প্রশ্ন, তা হল টেস্ট পেপার প্রকাশের এত দিন পরে কেন বিষয়টি নজরে এল? এতেই শেষ নয়। কিছু শিক্ষকের অভিযোগ, পর্ষদের অনুমোদিত বইতেও এই শব্দবন্ধের ব্যবহার রয়েছে। তবে পর্ষদ খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সমস্ত জায়গায় এটি রয়েছে তা বাদ দেওয়া হবে। 


একনজরে কাশ্মীর...
জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আন্তর্জাতিক স্তরে অখণ্ড কাশ্মীরের দাবি ও পাকিস্তানের বেআইনি দখলদারির বিরুদ্ধে বার বার সুর চড়িয়েছে ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশন হোক বা কূটনৈতিক শীর্ষবৈঠক, অখণ্ড জন্মু ও কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ সে ব্যাপারে স্পষ্ট ও অনড় অবস্থান নিয়েছে নয়াদিল্লি। সঙ্গে ইসলামাবাদকে দ্রুত বেআইনি দখলদারি ছেড়ে দিতে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। অল্প কথায় এটি এমন এক আন্তর্জাতিক সমস্যা যার এখনও সমাধান হয়নি। তার মধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের টেস্ট পেপারের প্রশ্নে তুমুল আলোড়ন। ভুল সংশোধন করেও কি সেই আলোড়ন পুরোপুরি থামানো যাবে? প্রশ্ন থাকছেই।


কী বললেন দিলীপ?
বিষয়টি নিয়ে এর মধ্যেই সরগরম রাজনৈতিক মহল। টুইট করেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। লিখেছেন, 'বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সমর্থক পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই রাজ্য সরকার শুধু জঙ্গিদেরই মদত দিচ্ছে না, তরুণ ছাত্রদের মধ্যে ভারতবিরোধী মানসিকতা তৈরি করার চেষ্টা করছে।' প্রাথমিক ভাবে এর জন্য পর্ষদ সংশ্লিষ্ট স্কুলের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে বড় প্রশ্ন হল, যেখানে টেস্ট পেপারের প্রকাশক পর্ষদ, সেখানে এমন ঘটনা ঘটে কী করে? 


 


আরও পড়ুন:'ছাত্রদের মধ্যে ভারতবিরোধী মানসিকতা তৈরির চেষ্টা', 'আজাদ কাশ্মীর' ইস্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ