কৃষ্ণেন্দু অধিকরী, কলকাতা : বেকায়দায় রাজ্যের প্রায় সাড়ে চারশো বেসরকারি স্কুল (Private School)। পর্ষদের বই কি পড়ানো হচ্ছে স্কুলে ? তথ্য চেয়েও মেলেনি, এই দাবি করে অনুমোদন বাতিলের হুঁশিয়ারি দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Secondary Education)। এরই মধ্যে প্রশ্নের মুখে পড়ল মাধ্যমিকের মূল্যায়ন। এদিকে, রিভিউ ও স্ক্রুটিনির ফলে ওলটপাটল হয়ে গেল মেধাতালিকা। ১১৮-র জায়গায় প্রথম দশে এল ১২২ জন।
CISCE ও CBSE- দুই দিল্লি বোর্ড ছাড়াও রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলির একটা অংশ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীন। ইংরেজি ও বাংলা মাধ্যমের এইসব বেসরকারি স্কুল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিলেবাস মেনে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। পর্ষদ সূত্রে খবর, রাজ্যে এরকম স্কুলের সংখ্যা ৪৫৬। পর্ষদের হুঁশিয়ারির মুখে পড়ে বেকায়দায় স্কুলগুলি।
পর্ষদের দাবি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের মতো বেসরকারি স্কুলেও পর্ষদের বই পড়ানোর কথা। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত পর্ষদের বই। নবম-দশমে বাংলা, ইংরেজি ও অঙ্ক বই পর্ষদের। কিন্তু অভিযোগ, অনেক স্কুলেই এই বই পড়ানো হচ্ছে না। সেই মর্মে স্কুলগুলির কাছে তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু পর্ষদ সূত্রে খবর, ১৫-১৬ টি ছাড়া, কোনও স্কুল তথ্য দেয়নি। এই প্রেক্ষাপটে স্কুলের অনুমোদন প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি দিলেন পর্ষদ সভাপতি।
এমনিতেই পর্ষদ অনুমোদিত শহরের একাধিক নামী স্কুল দিল্লি বোর্ডের অধীনে চলে গিয়েছে। পর্ষদের এই হুঁশিয়ারির পর কী হয় সেটাই দেখার। পর্ষদ যেদিন এই হুঁশিয়ারি দিল, সেদিনই প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়ন। শুক্রবারই প্রকাশিত হয়েছে, রিভিউ ও স্ক্রুটিনির ফল। যাতে বদলে গিয়েছে নম্বর, ওলটপাটল হয়ে গিয়েছে মেধাতালিকা।
পর্ষদ জানিয়েছে, মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের মাহির হাসান যৌথ তৃতীয় স্থান থেকে উঠে এসেছে যৌথ দ্বিতীয় স্থানে। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের প্রনীল যশ যৌথ ষষ্ঠ থেকে উঠে এসেছে এক ধাপ। এছাড়াও প্রথম দশের মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে আরও ৪ জন।
বাঁকুড়া জেলা হাইস্কুলে প্রীতম দাস, কোচবিহারের রামভোলা হাইস্কুলের দীপময বসাক, পূর্ব মেদিনীপুরের নাচিন্দা জে কে হাইস্কুলের অনুদীপা দাস এবং হুগলির কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশন মাল্টিপারপাস স্কুলের অঙ্কন নন্দী। ফলে প্রথম দশের মেধা তালিকায় ১১৮ জনের জায়গায় স্থান পেল ১২২ জন পড়ুয়া।
পর্ষদ সূত্রে খবর, এবার রিভিউ করা হয় ৭ হাজার ৫৭৪টি উত্তরপত্র। নম্বর বদলেছে ৬১২টি খাতার। স্ক্রটিনি করা হয় ৯৩ হাজার ৪৮৯টি খাতা। নম্বর পাল্টেছে ৮ হাতার ৩১ টি উত্তরপত্রের। সব মিলিয়ে নম্বর বদলে গিয়েছে ৮.৫৫ শতাংশ খাতার। যা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, মাধ্যমিকের মূল্যায়ন নিয়ে।
আরও পড়ুন- জেলা পরিষদে কোথাও কি ভাল ফল করতে পারবে বিরোধীরা? কী বলছে C-Voter এর সমীক্ষা ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI