কলকাতা : ৬ কেন্দ্রের একটিতেও হল না মানরক্ষা।  নতুন কোনও আসন তো জেতা হলই না, বরং  হাতছাড়া হল জেতা আসন, মাদারিহাটও। সিতাই, মাদারিহাট থেকে নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালডাংরা  ৬ আসনেই বিজেপি জয়ের কাছাকাছিও পৌঁছতে পারেনি। উপনির্বাচনে পরাজয়ের ধারা অব্য়াহত বিজেপির। তারপরও সুকান্ত মজুমদার প্রত্যয়ী, ২০২৬ এর বিধানসভা ভোটে বিজেপিই জিতবে ! কিন্তু দিলীপ ঘোষের স্পষ্ট কথা, যা ভেবেছিলাম, সেটাই হল। 'আমি অন্তত জানতাম, এটাই হবে'। 


দিলীপ ঘোষের আমলেই এ রাজ্যে বিজেপি সর্বপ্রথম বড় সাফল্য পায়। ২০২৯ এর লোকসভা ভোটে ৪২ এর মধ্যে ১৮ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি । কিন্তু তারপর ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের পরে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব সুকান্ত মজুমদারের হাতে তুলে দেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তারপর থেকে বিজেপির ফলাফল নিম্নগামীই। তবুও তাঁর কণ্ঠে আত্মবিশ্বাস , বিজেপি বিধানসভা ভোটে জিতবেই। এখনও তিনি মনে করছেন, 'উপনির্বাচন আর সাধারণ নির্বাচনের মধ্যে তফাত আছে...উপনির্বাচন বলে এরকম হয়েছে...২০২৬-এ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গড়বে'। কিন্তু যে রাজ্য সভাপতির হাত ধরে এখনও পর্যন্ত বিজেপি সবথেকে ভাল মার্কশিট পেয়েছে, সেই দিলীপ ঘোষ বললেন, তিনি জানতেন ফল এমনটাই হবে। 


দিলীপের স্পষ্ট বক্তব্য,' ভোট ওরা করায়, ওরাই জিতবে। সিতাইয়ের আগে দিনহাটারও উপনির্বাচন হয়েছিল দেখে নিন। ৯০ শতাংশ ভোট ওরাই পায়। সিতাইতে আমি প্রচার করতে গিয়েছিলাম গ্রামে, লোক অন্য কথা শুনছে না, বলছে ভোট দিতে বেরতে পারব কি না বাড়ি থেকে। এই পরিস্থিতিতে ভোট হয়। তাই আমরাও খুব প্রত্যাশা করিনি সিতাই থেকে। রেজাল্ট সেদিকেই গেছে একচেটিয়া। এটাই ছিল হওয়ার। আমরা যেটা জানতাম সেটাই হয়েছে। আমি তো অন্তত জানতাম। প্রচার করতে গিয়েছি দেখেছি। কম বেশি হতে পারে। কোথাও বেশি ভোটের ডিফারেন্স হয়েছে। হাড়োয়া আর সিতাই, সেখানে তো ভোট ওরা করাবে , যত ইচ্ছে, ওরা জিতবে। তালডাংরা মনে করেছিলাম একটু ভাল হবে। মাদারিহাটেও লড়াই হবে ভেবেছিলাম। '    


২০২৬-এ রাজ্য়ে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে পরাজয়ের গ্লানি  কি মুছতে পারবে বিজেপি ? নেবে কি নতুন কোনও স্ট্র্যাটেজি?                  


আরও পড়ুন :  সরছেন, না কি সরতে হচ্ছে? BJP কি সন্ন্যাসের পথে ঠেলে দিচ্ছে দিলীপকে? জল্পনা বাড়ল তাঁরই মন্তব্যে