কলকাতা: শিক্ষা দফতর ছাড়া অন্যান্য দফতরের অধীনে যে সব বিশ্ববিদ্যালয় আছে, তারও আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর জন্য বিধানসভায় আনা হবে বিল। সেই বিল পাশ হলে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শক পদে থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী। সব সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল শিক্ষা মহলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর মতে, “মুখ্যমন্ত্রী তো পলিটিক্যাল লোক? ভাইস চ্যান্সেলর তো পলিটিক্যাল লোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। উপাচার্যদের ভাবমূর্তি খারাপ হবে কারণ দলদাস ভাববে লোকে। মুখ্যমন্ত্রী তো প্রচুর ব্যস্ত, এত অ্যাকাডেমিক বিষয়ে ভিতরে ঢুকে কী ভাবে করবেন?’’
আরও পড়ুন, ভারতে এবার 'অত্যন্ত সংক্রামক' নরোভাইরাসের হানা! আক্রান্ত দুই পড়ুয়া
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আবহে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরাতে চায় রাজ্য সরকার। সেই পদে মুখ্যমন্ত্রীকে আনতে চাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীই হবেন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, এই নিয়ে প্রস্তাব পাশ এর আগেই হয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভায়। সেই সময় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, “রাজ্য মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতিক্রমে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গের যত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে তার আচার্য পদে মন্ত্রিসভা রাজ্যপালের পরিবর্তে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম আচার্য হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে। এটা এরপর বিধানসভায় যাবে। তারপর আইন হিসেবে পরিণত হবে।’’ এও বলা হয়েছিল রাজ্যপাল অনুমতি না দিলে অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারে সরকার।
রাজ্য সরকার যে এই পথে হাঁটতে পারে, গত ডিসেম্বরেই সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।