দুর্গাপুর: রাজনীতিতে চুল পাকিয়ে ফেললেও, সংসারের কাজেও যে তিনি সমান দক্ষ, হবার বার তা প্রমাণিত হয়েছে। এ বার কৃষিকর্মেও নিজের দক্ষতার কথা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ছোট থেকে পরিশ্রম করে বড় হয়েছেন, মাঠে ধান রুয়েছেন, ধান কেটেছেন, আবার সেই টাকায় আলুর চপ খেয়ে মনের স্বাদও মিটিয়েছেন বলে জানালেন মমতা।
দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠক মমতার
বুধবার দুর্গাপুরে (Durgapur News) প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মমতা। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, "আমি ধান পুঁততে পারি, আবার ধান কাটতেও পারি। সবার থেকে ভাল ধান পুঁতে দেব, ধান কেটে দেব।" নিজের ছোটবেলার অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, "ধান বিক্রি করে আলুর চপ কিনতাম।"
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'একেবারে উত্তম কুমারের মতো দেখতে', ডিজি-র মধ্যে মহানায়ককে খুঁজে পেলেন মুখ্যমন্ত্রী
দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে এ দিন হালকা মেজাজেও দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। সেখানে রাজ্যের কিছু বলার আছে কিনা, ডিজি-র মনোজ মালব্যর কাছে জানতে চান তিনি। সেই মতো উঠে দাঁড়ান ডিজি। কিন্তু কথা শুরু করতেই তাঁকে মাঝপথে থামিয়ে দেন মমতা। বলেন, "আমাদের ডিজি খুব শান্তশিষ্ট। ডিজিকে দেখতে শুনতে...একেবারে উত্তম কুমারের মতো দেখতে দেখ!"
মমতার এই মন্তব্যে বৈঠকে উপস্থিত সকলেই হেসে ওঠেন। তাতে কার্যতই লজ্জায় পড়েন ডিজি মালব্য। তার মধ্যেই দুই এসপি ভাল কাজ করেছেন বলে জানান তিনি। তাতে সায় দেন মমতাও।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলকে সতর্কবার্তা
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগে দলকে কাজে মনোসংযোগ করার বার্তাও দিতে দেখা যায় মমতাকে। তিনি বলেন, "গ্রামের রাস্তা খারাপ থাকলে কেউ ভোট পাবেন না, মাথায় রাখবেন। রাস্তা ভাল হলে খুশি হয়ে ভোট দেবেন মানুষ। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দরকার হলে মাথায় করে ইঁট বইবেন বলেও মন্তব্য করেন।"
১০০ দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেন মমতা। কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। একই সঙ্গে, যাঁদের জব কার্ড রয়েছে, তাঁদের কাজের দায়িত্ব রাজ্যের দফতরগুলিকে নিতে নির্দেশ দেন।